• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে ৫ কন্যা সন্তানের পর আবারো একসাথে ৩ কন্যার জন্ম

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০  

এক পূত্র সন্তানের আশায় পর পর ৫ কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া এক জননী আবারো এক সাথে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ নিয়ে পরেছে হৈ-চৈ। দরিদ্র দম্পতির ঘরে এতগুলো কন্যা সন্তানের ভরণ পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই দম্পতি। বর্তমানে শিশুগুলি স্থিতিশীল থাকলেও মায়ের অবস্থা খুব একটা ভাল নেই। অর্থের অভাবে চিকিৎসা আর খাবার না পেয়ে ঘরের মেঝেতে তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে প্রহর গুণছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে তিন কন্যাকে দত্তক নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন এক দম্পতি। দরিত্র দিনমজুর বাবা কষ্ট হলেও নিজেরাই সন্তানদের মানুষ করতে চাইছেন।

জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ নওদাপাড়া গ্রামের মৃত: আইয়ুব আলীর বড় মেয়ে ফাতেমার বিশ বছর আগে বিয়ে হয় ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের দিনমজুর সাইফুর রহমানের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসার এক এক করে ৫টি কন্যার জন্ম হয়। বড় কন্যাক এক বছর আগে বিয়ে দেন। বাকি চারজনের মধ্যে একজন নবম শ্রেণী, একজন সপ্তম শ্রেণী এবং দুইজন শিশু শ্রেনীতে পড়ছে। দরিদ্য পরিবারে এতগুলো সন্তান নিয়ে টানাপোড়নের মধ্যে দিন কাটছে ফাতেমা ও সাইফুর দম্পত্তির। এর মাঝে পূত্র সন্তানের আশায় আবারও গর্ভধারণ করে ফাতেমা। সন্তান প্রসবের জন্য মায়ের বাড়ি হাসনাবাদের নওদাপাড়ায় আসেন ফাতেমা।

ফাতেমার মা রহিমা বেগম নিজেও একজন দরিদ্র মানুষ। বাড়ির পাশের হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। গত সোমবার ১২ অক্টাবর বিকেলে সেখানেই একসাথ তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ফাতেমা। পরিবারের সকলে পূত্র সন্তানের আশা করলেও ফাতেমা এক সাথে তিন কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় কেউ খুশি হতে পারেনি। 

ফাতেমার মামা প্রভাষক মহর আলী জানান, জন্মের পর তিন শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও ফাতেমার শারীরিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। গত ৬দিনও বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেনি ফাতেমা। তিনি আরো জানান, ফাতেমা এখনো সংজ্ঞাহীনের মত অবস্থায় রয়েছে। কথা বলার মত অবস্থায় নেই। তবে চিকিৎসা চলছে।

ফাতেমার স্বামী সাইফুর রহমান এই খবরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। কারো সাথে ভাল করে কথা বলছেন না। মহর আলী আরো জানান, তাদের দরিদ্র সংসার এবং আগের ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে তাই সদ্য জন্ম নেয়া তিন কন্যা সন্তানদের দত্তক দেয়ার চিন্তা করে ফেসবুক স্টাটাস দেয়া হয়েছিল। তবে এখন সিদ্ধান্ত বদলানো হয়েছে। সন্তানদের মা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দত্তক দেয়া হবে না। 

কন্যাদের পিতা সাইফুর রহমান জানান, আল্লাহ যা করেছে তা ভাল হয়েছে। কষ্টের সংসার হলেও তাদের মানুষ করতে হবে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –