• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বাড়ছে সূর্যমূখীর চাষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বাড়ছে সূর্যমূখীর চাষ। এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী চাষ করে ৩২ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছে কৃষকরা। কৃষি বিভাগের মতে তিস্তা, ধরলা ও বৃহ্মপূত্র নদের চরে সূর্যমূখী চাষ সম্প্রসারণ করে চরের কৃষকের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের আমদানি নির্ভর ভোজ্য তেলের অনেকটাই যোগান দেয়া সম্ভব। 

কুড়িগ্রামে রয়েছে ১৬টি নদনদী আর সাড়ে ৪ শতাধিক চর। এই চরের পতিত জমিতে সূর্যমূখী চাষ করে সাফল্য পাচ্ছে চাষীরা। বাড়ছে আবাদ। এতে করে একদিকে যেমন আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, অপরদিকে পতিত অনাবাদি জমি কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষক। গত বছর জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী আবাদ করা হলেও এবার আবাদ হয়েছে ২০০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ২ মে.টন সূর্যমূখী তেলবীজ উৎপাদন হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি তেলবীজের দাম ৮০ টাকা। প্রতি হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার তেলবীজ বিক্রি ছাড়াও সম্প্রসারণশীল বাজার দেখে খুশি সূর্যমূখী চাষীরা। তবে চাষ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন ঋণ সহায়তা।

সূর্যমূখী থেকে কোলস্টেরল মুক্ত তেল উৎপাদন করে ক্ষতিকর পামওয়েল ও সয়াবিন এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রেহাই পাবেন ভোক্তারা। আর সূর্যমূখী গাছ চাহিদা মেটাচ্ছে  জ¦ালানির। কর্মসংস্থান হয়েছে চরের বেকার দিন মজুরদের।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, নদী বহুল কুড়িগ্রাম জেলার ৪৬ হাজার চর ভূমির বেশিরভাগ সূর্যমূখী চাষের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার দারিদ্র বিমোচনে সূর্যমূখী চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

রংপুর অঞ্চলে এবার ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৪গুণ। বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের দাম অনেক বেড়েছে। ভাল মার্কেটিং করতে পারলে এবং উদ্যোক্তরা তেল উৎপাদনে এগিয়ে আসলে সূর্যমূখী তেল দিয়েই দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকাংশে মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

সংশ্রিষ্টরা মনে করেন, আওয়ামীলীগ সরকার সাধ্যমত কৃষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। ফলে, কৃষকগণ শত বাধা পেরিয়ে ফসল উৎপাদন করতে পারছে। করোনা মহামারিতে দেশের সকল সেক্টরে প্রভাব পড়লেও কৃষিক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়েনি। আওয়ামীলীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার হওয়ায় এরকম সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –