• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর: রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। কৃষকের বিভিন্ন সেবা সহজে প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে বিএমডিএ’র মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ, সেচনালা বৃদ্ধি ও ভূ-উপরিস্থ পানি সেচ কাজে ব্যবহারে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পীরগাছা উপজেলায় কৃষকের বিভিন্ন সেবা সহজে প্রাপ্তির লক্ষ্যে এই অফিস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রংপুরের পীরগাছায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) জোনাল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন, বিএমডিএ'র রংপুরের প্রকল্প পরিচালক ইআইআরপি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, সহকারী প্রকৌশলী এম মোস্তাক আহমেদ সরকার ও উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বিএমডিএ সূত্র জানায়, ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর রংপুরের ৫টি জেলার (রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা) ৩৫টি উপজেলায় খাল, বিল, পুকুর পুনঃখনন কাজ, এলএলপি স্থাপন, পাতকুয়া স্থাপন, ফুটওভার ব্রিজ, ক্রসড্যাম নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।

খাল-বিল ও পুকুর পুনঃখনন করা হলে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হবে, জলাবদ্ধ জমি সমূহ কৃষি উপযোগী হয়ে উঠবে, পানি সেচ কাজের পাশাপাশি হাঁস চাষ, মৎস্য চাষ ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করা যাবে। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে ও ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। প্রতি কিলোমিটার খালের পানিতে প্রায় ৫৩০ একর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদান করা সম্ভব হবে। মজুদকৃত পানি ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর পুনর্ভরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার খাল, ৩টি বিল, ১০টি পুকুর, ১০টি সৌরশক্তি চালিত এলএলপি, ১০ টি বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি, ১০টি সৌরশক্তি চালিত পাতকুয়া স্থাপন ও ৩১০০০টি বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

দ্বিতলা বিশিষ্ট ১৮০০ বর্গফুটের পীরগাছা জোনাল অফিস ভবনটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া উপজেলায় ২৫ কিলোমিটার খাল, ৪৭.৫০ একর হাড়োডাঙ্গা বিল, ৫টি পুকুর পুনঃখনন, এলএলপি-৫টি ও সৌরচালিত পাতকুয়া ২টি, ৩০০ জন কৃষককে আধুনিক চাষাবাদ ও কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

খালে পানি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্রসড্যাম নির্মাণ ও জনগণের পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। খননকৃত খাল, বিল ও পুকুরের ধারে ফলদ, বনজ ও ঔষধি ৩৭ হাজার ৫০০টি বৃক্ষরোপণ করা হবে, যা অতিরিক্ত বনজ সম্পদ সৃষ্টি, পরিবেশ উন্নয়ন ও পুষ্টিমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –