• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

চরাঞ্চলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেবে সরিষা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাইবান্ধায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার সাত উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে নদীবাহিত পলির বেলে-দোআঁশ মাটিতে ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করা হয়েছে।

সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় এসব এলাকার দরিদ্র কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন। কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানালেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে সরিষা ফুল ঝরতে শুরু করে গাছগুলোতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। অনেকেই আগাম সরিষা তুলতে শুরু করেছেন। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে এ বছর কৃষকরা সরিষা চাষ করায় এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কৃষক ফজলু রহমান জানান, গতবছর বছর বন্যায় তার ৫ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়েছিল। পরে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেই জমিগুলোতে সরিষার চাষ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে। এ বছর সরিষা বিক্রি করে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কুখরাহাট গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সরিষা চাষ করেছি। এ বছর আবহাওয়া সরিষা চাষের অনুকূলে, তাই সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। মাড়াই করার জন্য সরিষা ঘরে তোলা হচ্ছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সরিষাচাষি কামরুল ইসলাম জানান, এ বছর তার এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার চাষাবাদ বেড়ে গেছে। এবার স্থানীয় জাতের সরিষায় হেক্টর প্রতি ফলন হয় দশমিক ৫ থেকে দশমিক ৬ টন। সে তুলনায় বিনা ও বারিসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করায় এর চাষ বেশি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান জানান, মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। সরিষা চাষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতটি উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে ৯ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছিল।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –