• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ধর্ম নিয়ে কোনো রাজনীতি দেখতে চাই না: শিবলী সাদিক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০  

ধর্ম ব্যবসায়ীরা যেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো ওয়াজ মাহফিল করার সুযোগ না পায় এবং ওয়াজে কোরআন-হাদিসের বাইরে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতা নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা করছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সে প্রসঙ্গে শিবলী সাদিক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার লিখিত রূপ:

চর্মনাইয়ের হুজুর আছেন- তিনি বলেছেন, রক্ত দেওয়া শুরু হয়েছে আর থামবে না। আরেকজন আছে মামুনুল হক, অনেকদিন থেকে বলছেন ফেসবুকে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি গড়া হলে বাংলাদেশকে শেষ করে দেবে। আপনারাই বলেন, রাজনৈতিকভাবে এখানে এই চারটি উপজেলার (দিনাজপুরের) মানুষ কখনও অ্যারোগেন্ট হয়েছে? তাহলে কিসের মৌলবাদ, বলেন দেখি? বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্কাল্পচার তৈরি করা হবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটা দেখতে পারে, দেখলে বুঝতে পারে তিনি কেমন ছিলেন। তাঁর বিশালতা দেখে, তাঁর প্রতিবিম্ব দেখে আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম যেন অনেক কিছু শিখতে পারে। আমাদের চেষ্টা হবে সেটাই।

গত শুক্রবার বিরামপুর উপজেলায় আয়োজিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক সমাবেশে সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ তুলে তিনি এসব কথা বলেন।

এই সরকার, জাতিরজনকের কন্যা, এই কাজটাই করছেন। জাতিরজনকের যদি স্বর্ণের মূর্তি তৈরি করা হয়, তবুও তাঁর ঋণ শো’ধ করা যাবে না। সেখানে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি নিয়ে যে কথাবার্তা বলা হয়েছে, কটাক্ষ করা হয়েছে; আমার কাছে তো মনে হয়, ঢাকা শহরে তারা যখন সভা করেন, ৫০-৬০ হাজার মানুষ হয়, আর তারা যে হুংকার দেয়, তাতে মনে হয় ওই ৫০-৬০ হাজার মানুষ নিয়েই তারা গোটা বাংলাদেশ শেষ করে ফেলবে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি রয়েছি, এত পুলিশ আর্মি বিজিবি রয়েছে, আমরা সব চুড়ি পরে বসে থাকব? তাদের এত বড় বড় কথা কয়েকদিন ধরে শুনছি।

আজকের এই মঞ্চ থেকে আমরা ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই, যারা বঙ্গবন্ধুর মূর্তিকে বুড়িগঙ্গার পানিতে ফেলে দেওয়ারর কথা উচ্চারণ করছে বাংলার মাটিতে, আমরা সভ্য, নম্র, ভদ্র বলে, আমাদের বাপ দাদা চৌদ্দগোষ্ঠী আমাদেরকে আদব কায়দা শিখিয়েছে বলে, আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো বেয়াদবি করি নাই। মাওলানা শব্দের অর্থ হলো অভিভাবক। নামিদামি মাওলানা আছে, কিন্তু অভিভাবকের মত কথা নাই। যখনই বক্তৃতা করতেছেন তারা, এমন চিৎকার করতেছেন, তাদের কণ্ঠ শুনলেই ভয় পায় মানুষজন। তাদের কথা শুনলেই মনে হয় বাংলাদেশ যেন আফগানিস্তান পাকিস্থানের মত তালেবান রাষ্ট্র হয়ে গেছে। এরকম কি কোনো পরিস্থিতি আছে? বলেন তো, বিরামপুরে এমন কোনো পরিস্থিতি আছে? তাহলে তাদের হুংকার দেখে কি আমরা সহ্য করব?

আমরা এর পরবর্তীতে, এখানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যদি কোনো অনুষ্ঠান করেন, আমাদের সাথে পরামর্শ করে করবেন আপনারা। আমি এখানে প্রত্যেকটা থানার অফিসার ইনচার্জ রয়েছেন, আমাদের এসপি সাহেব রয়েছেন, আমাদের বিভিন্ন অফিসারগণ রয়েছেন, আমি এই মঞ্চ থেকে বলে যাচ্ছি, প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে এখানে যেন কোনো ধর্মসভার কার্যক্রম কেউ করতে না পারে। কারা আসবে, কীভাবে আসবে, এখানে কোরআনের তাফসির হবে, একটার জায়গায় দরকার হলে এক হাজারটা কোরআনের তাফসির করা হবে, এক হাজার ইসলামিক জলসা করা হবে, সেখানে কোরান এবং হাদিসের আলোকে আলোচনা সভা হবে, কিন্তু কোনো উস্কানিমূলক কথাবার্তা আমি বরদাশত করব না।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –