• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পৃথিবীর এক ঘৃণ্য তথাকথিত রাষ্ট্রের নাম ইসরাইল- গীতিকার ইশতিয়াক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২১  

পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনীয় বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। গাজা এলাকায় মঙ্গলবার এয়ারস্ট্রাইক চালায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ। নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো। 

ফিলিস্তিন বললে আমাদের সামনে ভেসে আসে দুটি ছবি। 
১. ইয়াসির আরাফাত।
২. রক্তাক্ত মানুষের মুখ।
ইয়াসির আরাফাত বেঁচে নেই। তিনি মারা গেছেন একেবারে।
মানুষগুলো বেঁচে আছে। বারবার মরার জন্য।
তথাকথিত ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের আঘাতে বছরের পর বছর মরছে তারা। 
পৃথিবীর এক ঘৃণ্য তথাকথিত রাষ্ট্রের নাম ইসরাইল।
হিটলারের কাছ থেকে নিপীড়িত হয়ে ১৯৩৩ সালে ইহুদিরা পালিয়ে ফিলিস্তিনে আসে। 
পরজীবীর বিশ্বাসঘাতকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই জাতি।
যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেই জাতির বিরুদ্ধে চালাচ্ছে নিদারুন নির্যাতন।
এই জাতি নিজেদের অবস্থানগত জায়গা পৃথিবীর বুকে এতো সংহত করে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নাই।
এমন কী আরব রাষ্ট্রগুলোর বন্ধুত্বও চোখে পড়বার মতো।
ফিলিস্তিনির পক্ষে আওয়াজে, শ্লোগানে বিশ্বের মুসলমান ভাইয়েরা থাকলেও, কাগজে কলমে নেই।
যে কারণে হয়তো ইসরাইলের কোনও কাজ না থাকলেই গিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, রোজার সময় এটা বেড়ে যায়।
ফিলিস্তিনিদের জন্য আমাদের আসলে কিছু করার নেই।
দুঃখ পাওয়া ছাড়া।
দোয়া করা ছাড়া।
মিছিলে প্রতিবাদ করা ছাড়া।
ফিলিস্তিনি প্রতিটি ছবি এই পৃথিবীর জন্য, এই সময়কালে মানবতার জন্য লজ্জার।

ট্যাংকের সামনে যে তরুণ বুক পেতে দাঁড়িয়ে যায়, যে মানুষ হুইল চেয়ারে বসে বিমান হামলার বিপরীতে ঢিল ছোড়ে, যে কিশোর আধুনিক রাইফেলের সামনে তার গুলতি নিয়ে তাক করে তারা শুধু ইসরাইলের দিকে এসব তাক করে না, পৃথিবীর মানবতাবাদী দুই শতাধিক রাষ্ট্রের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দেয়, আমরা বছরের পর বছর নিজেরাই নিজেদের মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে গেলাম।
আর তোমাদের মানবতাবিষয়ক সেমিনার চালিয়ে গেলে।

পৃথিবীর বুকে ফিলিস্তিনিদের রক্ত দিয়ে মানবতার যে মূল প্রবন্ধ লেখা হচ্ছে সেটা একদিন এই পৃথিবীর উত্তর প্রজন্ম পড়বে এবং হাসবে।
কত ভীতু কাপুরুষের ভরা ছিলো একেকটি রাষ্ট্র।
আল্লাহ তাদের সহায় হোন...

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –