• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ফের মুক্তির মেয়াদ বাড়ল খালেদার, কৃতজ্ঞতা নেই বিএনপির

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

বয়স ও অসুস্থতার দিক বিবেচনায় গত বছরের ২৫ মার্চ কারান্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। পরবর্তীতে গত সেপ্টেম্বরে পূর্বের ছয় মাসের সঙ্গে আরো ছয় মাস মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৪ মার্চ। 

এর আগেই গত ২ মার্চ আবারো মেয়াদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরো ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ খবর শুনেই ‘আহত পাখির’ মতো আর্তনাদ করছেন তারেক রহমান। 

বিএনপিতে খালেদা জিয়া পন্থী নেতাদের দাবি,  খালেদা জিয়া বেশিদিন বাইরে থাকা মানে দলের একটি অংশ তার কথা শুনবে এবং কথানুযায়ী চলবে। এতে তারেক রহমানের ক্ষতি বৈ লাভ হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ স্বজন বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা শুনে তারেক রহমানকে খুব বিচলিত দেখা গেছে। কারণ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) বেশিদিন বাইরে থাকা মানে, তার ক্ষতি। তিনি ঠিকভাবে দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কারণ কিছু নেতাকর্মী আছেন যারা তারেকের চেয়ে খালেদার কথাকেই বেশি প্রাধান্য দেন এবং সে অনুযায়ী চলেন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞজনদের ভাষ্য, সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে এই মুক্তি, অথচ সেই শর্তই ভেঙে ফেলেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি সৌজন্য সাক্ষাতের নামে রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের দিয়েছেন দিকনির্দেশনা। এতে বিরক্ত হন তারেক। 

তারা আরো বলেন, বিএনপির একটি অকৃতজ্ঞের দল। খালেদা জিয়ার মত একজন দুর্নীতিবাজ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সরকার বারবার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছে না। উল্টো তারা সরকারের দোষারোপের রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। তারা কখনোই সরকারের ভালো দিকটা স্বীকার করে না।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়।

এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষের আগেই পূর্বের ন্যায় দল কিংবা পুত্র তারেকের সহায়তা ছাড়াই পরিবারের মাধ্যমে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন খালেদা। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ওই আবেদনটি করেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –