• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বর-কনে দিল্লীতে থাকলেও কুড়িগ্রামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২০  

বর-কনে ভারতের দিল্লীতে থাকলেও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে। বুধবার উপজেলা সদরের কুটিচন্দ্রখানা চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর মনোরঞ্জন সেন সরকারের বাড়িতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।  

জানা গেছে,  ৫ বছর আগে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের কুটিচন্দ্রখানা চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের চন্দ্র কান্ত সেনের ছোট ছেলে মনোরঞ্জন সেন সরকার কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ভারতের হরিয়ানায়। সেখানে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের পয়রা ডাঙ্গা কদমের তলের বাসিন্দা দিনো বন্ধু রায়ের সঙ্গে। 

উভয়ে ইটভাটায় কাজ করায় পরিচয় আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ইটভাটার এক ঠিকাদার দিনো বন্ধু রায়ের মেয়ের সঙ্গে মনোরঞ্জনের বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে তিনি রাজী হলে মনোরঞ্জন তার বিয়ের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানান। পরিবারের অনুমতি পেয়ে ২৫ নভেম্বর বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। 

বিয়েতে কনেকে স্বর্ণ দিয়ে সাজানো এবং ছেলেকে ভারতীয় ৭০ হাজার টাকা ও একটি গরু প্রদান করার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী কনের মামা বায়নাপত্র নিয়ে ১৮ নভেম্বর ছুটে যান বরের বাড়িতে। বরের মা দিপালী রানীর হাতে বায়নাপত্রের ৫ হাজার টাকা তুলে দেন কনের মামা। এরপর ২৫ নভেম্বর বরের পরিবার বিয়ের কাজ শুরু করেন। 

ভিডিও কলের মাধ্যমে দিল্লীতে বরের গায়ে হলুদ দেখে কুড়িগ্রামে তার বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বর-কনে দিল্লীতে থাকলেও কুড়িগ্রামে বরের বাড়িতে সকাল থেকে আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়। 

বরের মা দিপালী রানী সেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ৪ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে মনোরঞ্জন ছোট। সে সবার আদরের। তাই তার বিয়ে দিল্লীতে হলেও পরিবারের লোকজন বাংলাদেশে তার বিয়ের সব কাজ সম্পন্ন করতে পেরে খুশি হয়েছি। 

মনোরঞ্জনের বড়বোন মালতী রানী সেন, ভাতিজি চুমকী রানী সেন, ভাতিজা তপন চন্দ্র সেন বিয়ের এই অনুষ্ঠানে তারা ভিশন খুশি। বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা তারা ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন। বিয়ে অনেকটা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

বরের বোন জামাই সন্তোষ কুমার বলেন, শ্যালক দিল্লীতে থাকলেও তার বিয়ে খেতে এসেছি তার বাড়িতে। বেশ আনন্দ মুখরভাবেই শ্যালকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

স্থানীয় হামিদা খাতুন জানান, বর-কনে ছাড়া বিয়ের এই অনুষ্ঠানটি ব্যতিক্রম। বর-কনে এক দেশে অবস্থান করছেন অথচ বিয়ের অনুষ্ঠান আরেক দেশে। এমন বিয়ের অনুষ্ঠান কৌতূহলবশত উপভোগ করেছি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –