• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বীমা শিল্প আজ শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত- রাষ্ট্রপতি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি শোষণমুক্ত, স্বনির্ভর এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের সুবিধার্থে তিনি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের সকল বীমা কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পরবর্তীতে দুটি করপোরেশনে একীভূত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বীমা শিল্প আজ শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং বিভিন্ন শিল্প ও সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট সম্পদের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

সোমবার (১ মার্চ) ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আমি বিমা প্রতিষ্ঠান, গ্রাহকসাধারণসহ বিমাশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পাননি লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে বীমাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সরকার এ দিনটি স্মরণে প্রতি বছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাই এবারের বীমা দিবসে ‘বঙ্গবন্ধু বিমা মেলা’র আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাধারণ জনগণই বীমা শিল্পের প্রাণ। তাই গ্রাহকের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে বিবেচনায় রেখে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। গ্রাহকের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিসমূহ প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে আমি বীমা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে যে, প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায়। কিন্তু সকল প্রতিকূলতা ও বিপদে আর্থিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমি ‘জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।’

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –