• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মহামারি মোকাবিলায় হার্ড ইমিউনিটির ধারণাটি সমস্যাপূর্ণ: ডব্লিউএইচও

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০  

ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির যে ধারণাটি দেওয়া হচ্ছে তাকে ‘সমস্যাপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ট্রেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি তো দূরের কথা জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই হার্ড ইমিউনিটির ধারণা ব্যবহার করা হয়নি।’ বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


হার্ড কথার অর্থ হলো জনগোষ্ঠী। আর ইমিউনিটি হলো রোগপ্রতিরোধক্ষমতা। সমাজের বেশির ভাগ মানুষের শরীরে যখন কোনো বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় (হয় টিকা গ্রহণ করে, নয়তো জীবাণু সংক্রমণের মাধ্যমে) আর তাতে সুবিধা পায় অন্যরা। এপিডেমিওলজিতে এই ধারণাকেই বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি।

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে যারা মনে করছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারি করা লকডাউন অনেক বেশি কঠোর ও প্রত্যাহার করা উচিত, তারা জোরেশোরে হার্ড ইমিউনিটির কথা তুলে ধরছেন। অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন যে, ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত হার্ড ইমিউনিটির জন্য করোনাকে স্বাভাবিকভাবে ছড়াতে দেওয়া উচিত।

তবে ধারণাকে ঠিক মনে করছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত করার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা হয়। একে ছড়িয়ে দিয়ে নয়। মহামারি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় এটা কোনো কৌশল হিসেবে কখনো ব্যবহার করা হয়নি।’

কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির চিন্তাকে ‘বৈজ্ঞানিকভাবে ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন গেব্রিয়াসিস।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –