• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মুজিববর্ষে সবার জন্য ঘর নিশ্চিতে সর্বাত্মক কাজ করছে সরকার

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২০  

মুজিববর্ষে ভূমি ও গৃহহীন সব পরিবারের জন্য ঘর নিশ্চিতকরণে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। উপকারভোগী নির্বাচন ও ঘরের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এবং নির্দিষ্ট সময়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসনের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সবার জন্য দ্রুত গুণগত মানের ঘর নিশ্চিত করতে কর্মবণ্টন ও করণীয় নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (মুজিববর্ষ) সবার জন্য গুণগত মানের ঘর নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদের টিম সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, ‘ক’ শ্রেণির অর্থাৎ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা (জুন ২০২০ পর্যন্ত) মোট দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি এবং ‘খ’ শ্রেণি অর্থাৎ যার ১-১০ শতাংশ জমি আছে অথচ ঘর নেই/খুবই জরাজীর্ণ ঘর—এমন পরিবারের সংখ্যা (জুন ২০২০ পর্যন্ত) মোট পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। এই দুই ক্যাটাগরির সর্বমোট আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার।

সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে প্রথম পর্যায়ে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সব বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হবে। এসব বাড়িতে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও ইউলিটি স্পেসসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মহসীন, গুচ্ছগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ এবং প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –