• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২৯০। মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে।

গাইবান্ধায় স্ত্রীর লাশ ফেলে যাওয়া সেই স্বামী কাটা পড়লেন ট্রেনে

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৩  

স্ত্রীর লাশ দাফন না করে বাঁধে ফেলে যাওয়া সেই খোকন মিয়া ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা রেলওয়ে থানার ওসি সুমন পারভেজ। 

এর আগে, দুপুরে বেওয়ারিশ হিসেবে খোকনের লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা পৌর কবরস্থানে দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (২৯ নভেস্বর) বেলা ১১টার দিকে বোনারপাড়ার ডিমলা পদুমশহর রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সান্তাহার-বুড়িমারীগামী করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়।

নিহত খোকন গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের হিয়ালী গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতেন। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি সুমন পারভেজ বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ খোকনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করতে গিয়ে তার কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি। তার এলাকার কেউ লাশের দায়িত্ব নিয়ে দাফন করতে রাজি হননি। পরে আমরা বেওয়ারিশ লাশের দায়িত্ব নেয়া সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে লাশ হস্তান্তর করি। খোকন মানসিক প্রতিবন্ধী। দুর্ঘটনাবশত তার মৃত্যু হয়েছে। 

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের গাইবান্ধার উপ-পরিচালক শাহজাহান খন্দকার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তার লাশ গাইবান্ধা পৌর কবরস্থানে আমরা দাফন করেছি। ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছিল বলে রেলওয়ে পুলিশ মারফত আমরা জেনেছি।

এ বিষয়ে কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান রাশেদ জানান, বোনারপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে খোকন মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের খামার বাগছী এলাকা বাঁধ থেকে খোকন মিয়ার স্ত্রী শারমিন খাতুনের (২৩) লাশ উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ। 

সাদুল্লাপুর থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, শারমিন দীর্ঘদিন থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য খোকন মিয়া গ্রামে গ্রামে ভ্যানযোগে সাহায্য (টাকা) তুলে বেড়াতেন। যে অর্থ পেতেন তা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সংসার চলতো। প্রতিদিনের মতো স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বের হন। পরে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে গেলে তার স্ত্রী মারা যান। পরে ওই এলাকার লোকজন আর্থিক সহযোগিতা করে লাশ দাফনের জন্য খোকনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু খোকন স্ত্রীর লাশ দাফন না করে খামার বাগছী এলাকার বাঁধে ফেলে পালিয়ে যান। পরে সকালে স্থানীয়রা এক নারীর পরিত্যক্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –