আলো দেখছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু: আগামী মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২০
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখছে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রেলসেতু। আগামী মাসে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমবে। ঝুঁকিও হ্রাস পাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে সমান্তরালভাবে গাড়ি ও রেল চলছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য খুবই ধীরগতিতে চলে রেল কোচ। শুধু তাই নয়, সেতুর ওপর চলাচলের আগে দুই প্রান্তেই বিরতি দিয়ে ইঞ্জিন চেক করতে হয় কোচগুলোর। বর্তমানে ওই সেতুতে অনুমোদিত গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
ফলে একটি ট্রেনের সেতুর পুব পাশের স্টেশন থেকে পশ্চিম পাশের স্টেশনে যেতে প্রায় আধা ঘণ্টা লাগে। কিন্তু যমুনা নদীর ওপর পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ হলে সে ঝুঁকি আর থাকবে না। কমে আসবে ভ্রমণকালও। এতে যাত্রীদের সময়ের সাশ্রয় হবে। জ্বালানি খরচও কমবে রেল বিভাগের। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা সহজ হবে, কমবে পণ্য পরিবহন খরচ; যা ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এটা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করে সরকার।
সূত্র জানায়, ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্র্যাকের এ সেতুটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু। এটি রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ ও উন্নত করবে। এ ছাড়া ট্রেন শিডিউল বিপর্যয় কমাতেও এ সেতু সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে এ সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুটি নির্মাণ করবে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। এটি অবশ্য গত মার্চের সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয়; যা প্রথম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজালে (ডিপিপি) ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। সূত্র জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে। নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রেললাইন তুলে নেওয়া হবে। নতুন সেতুতে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল আরও সহজ হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সেতুর কাজ শুরুর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে নভেম্বরেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এ সেতু উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেল চলাচল ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে তিনি মনে করেন। প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, সময়ের কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্প এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হবে; যা ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে যমুনা নদীর পাড়ে গিয়ে এ রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও করতে পারেন। এদিকে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, সরকার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রেন পরিচালনার কথা ভাবছে। এজন্য চিলাহাটি-হলদিবাড়ী ৭ কিলোমিটার রেললাইন সংযোগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে এ রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন। এটি চালু হলে ঢাকা-শিলিগুড়ি রুটেও ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে বলে সূত্র জানান।
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ শুরু প্রসঙ্গে এ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান জানান, মূল সেতুটি দুটি প্যাকেজের আওতায় নির্মাণ হবে। নির্মাণ ব্যয়ের সিংহভাগ (৭২ শতাংশ) ঋণ সহায়তা দেবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকা। এ সেতুর পূর্ব অংশ নির্মাণ করবে জাপানি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, টিওএ করপোরেশন এবং জেএফই। এ অংশের জন্য ব্যয় হবে ব্যয় ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। অন্য জাপানি কোম্পানি আইএইচআই ও এসএমসিসির যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ হবে পশ্চিম অংশ। এ অংশের জন্য ব্যয় হবে ৬ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আসতে শুরু করেছেন। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিস্তারিত নকশা ছাড়াই একনেক প্রকল্পটির অনুমোদন দিলেও নানা কারণে এর কাজ এখনো শুরু হয়নি। পরে ২০১৮ সালে বিস্তারিত নকশা তৈরি করা হয়। এরপর আবারও নকশায় কিছুটা পরিবর্তন এনে সম্ভাব্য ব্যয় সংশোধন করা হয় মার্চে। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ, জমি লিজ ও জাদুঘর নির্মাণ।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও জীবনাশের অভিযোগে মানববন্ধন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- টেলিস্কোপ তৈরি করলো রাজারহাটের ফারাবী
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- রাজিবপুরে ইসতিসকা নামাজ আদায় ও দোয়া প্রার্থনা
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- ফুলবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট সেন্টারের উদ্ভোধন
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- কুড়িগ্রাম মাদকের বিরুদ্ধে শিশু-কিশোরের স্মারকলিপি প্রদান
- ফুলবাড়ীতে ইউস্যাফের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ