নতুন রূপে সেজেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩

তীব্র খরতাপ! মাঝেমধ্যে বৈশাখের শীতল বাতাস। পাকা আম-কাঁঠালের সুবাস। প্রকৃতিতে চলছে ভরা গ্রীষ্ম। বৃষ্টির খবর নেই। খরতাপে পুড়ে ছারখার পথ-ঘাট। একটু স্বস্তি আর বাতাসের খোঁজে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। এমন সময়ে রক্তঝরা কৃষ্ণচূড়া আর রংধনুর মতো হরেক রঙে প্রকৃতিতে এসেছে নানা গোত্রের ফুলেরা।
ষড়ঋতুর বাংলার প্রকৃতি যেন নির্দয়। শীত-বসন্ত পেরিয়ে ষড়ঋতুর বাংলায় এসেছে ফুল-ফলের ঋতু গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের আগমনে প্রকৃতিতে সেজেছে নানান ফুলে-ফলে। হলুদ আভার সোনালু আর বেগুনি জারুলের সঙ্গে এসেছে রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সম্মুখ অংশে, জিরো পয়েন্ট থেকে ফ্যাকাল্টি রোডে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। ক্যাম্পাসে এমন সাজ যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। মুগ্ধতা ছড়াবে প্রকৃতি প্রেমীদের। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ছাড়াও দর্শনার্থীরা ভিড় করছে এক পলক জারুল-সোনালুর সৌন্দর্য দেখতে।
প্রকৃতির এই সুন্দর সাজে ৭৫ একরের পুরো ক্যাম্পাস যেন সেজেছে নতুন রূপে। গ্রীষ্মের হলুদ রঙের সোনালু, কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা, জারুলের বেগুনি পাপড়ির নমনীয় কোমলতা আর দৃষ্টিনন্দন বর্ণোচ্ছটা ক্যাম্পাসকে রাঙিয়ে তুলেছে। বেগুনি আভায় সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর প্রাঙ্গণ। মনে হবে গাঢ় বেগুনি রঙের বন্যা বইছে সেখানে। বকুলের ঘ্রাণে মুখরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট খেলার মাঠ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ ও স্বাধীনতা স্মারক মাঠের উত্তর পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছগুলোর শাখায় শাখায় ফুটেছে রক্তবর্ণ ফুলের সমাহার। এর ফলে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভায় দুই নাম্বার গেইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বহুগুণ। এই কারণে এই সড়কের নামকরণ করা হয়েছে কৃষ্ণচূড়ারোড।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পথচারী বা ক্যাম্পাসে আসা দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সময় হৃদয় কাড়ে নয়ন জুড়ানো কৃষ্ণচূড়া। মনের অজান্তেই মুখে অস্ফুট স্বরে বের হয়ে আসে ‘বাহ! কী চমৎকার দৃশ্য। কী মায়াবী জাল বিস্তার করেছে আকাশের পানে।’
শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পার্কের মোড়ে অবস্থিত বেরোবির ক্যাম্পাস জুড়েই আগুন রাঙা সেই কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য আলো ছড়াচ্ছে। গাছে গাছে নয়ানাভিরাম রাঙা ফুলের মায়া। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছগুলোতে আগুন লেগেছে, কাছে গেলে চোখ আটকে থাকে রক্তিম আভার ফুলের সমাহারে। গাছের নিচে পড়ে থাকে অজস্র ঝড়াপাপড়ি, যেন মনে হয় রক্তবর্ণ লাল গালিচা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক, চত্বর ও রাস্তার পাশে অসংখ্য গাছ এ ফুলের রক্তিম আভায় ছেয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস। এছাড়াও জারুল, হিজল, বকুল, সোনালুসহ নাম জানা অজানা অসংখ্য ফুলের গন্ধে ভরে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ। গন্ধহীন এ ফুলে পাপড়ি থাকে পাঁচটি। নমনীয় কোমল, মধ্যে লম্বা পরাগ। ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেই!
গাছগুলোর শাখায় শাখায় ফুটেছে রক্তবর্ণ ফুলের সমাহার। ফলে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে সেজেছে কৃষ্ণচূড়ারোড। কৃষ্ণচূড়া যেন সূর্যের সবটুকু উত্তাপকে শুষে নিয়ে সৌন্দর্যের এক অভিনব উত্তাপ ছড়াচ্ছে পুরো এই ৭৫ একরে। সে উত্তাপেই পুড়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য বিলাসী সবার মন।
কৃষ্ণচূড়ার অনিন্দ্য সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, প্রকৃতির সব সৌন্দর্যে যেন অপরূপ সাজে সেজেছে প্রাণের কৃষ্ণচূড়া রোড, দুই পাশে সারি সারি করে লাগানো এই মাঝারি আকারের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো মনমাতানো রঙ আর সৌরভ দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অনেকটা ফাঁকা এই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই দূর থেকে দূরে চোখে চোখে পড়ছে এই সবুজের বুকে লাল কৃষ্ণচূড়া পুষ্পরাজি। ঋতুরাজ বসন্ত পেরিয়ে গেলেও মনে হচ্ছে প্রতিটি দিনই এখন বসন্ত। এই জারুল, কৃষ্ণচূড়া, শ্বেতশুভ্র কাশফুল আর সোনালু বহুগুণে রূপবতী করে তোলে প্রাণের এই ৭৫ একরের ক্যাম্পাসকে।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, কৃষ্ণচূড়া যেন ভাষার রঙ হয়ে বেরোবির বুকে আবার আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। রোমাঞ্চকর প্রেমালাপ যেন উপযুক্ত হয়ে উঠেছে এই কৃষ্ণচূড়ার লালিমায়। এই সৌন্দর্য পৃথিবীর অমৃত লহরীর মতো যার ব্যাখ্যার অন্ত নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্যমন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয় হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এখন ক্যাম্পাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুলগুলো হলো জারুল, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু। আবার এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাল সোনাই। এখানে প্রায় ৪০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। গ্রীষ্মের শুরুতে ফুল ফোটা শুরু করে এবং এই ফুলগুলো গ্রীষ্ম মৌসুমকে উজ্জ্বল করে রাখে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং বাইরে থেকে আসা সৌন্দর্যপিপাসু লোকদের পিপাসা মিটাতে সাহায্য করে।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- লাল-সবুজের নতুন কোচ নিয়ে ঢাকার পথে সুবর্ণ এক্সপ্রেস
- মোংলা বন্দর দিয়ে বাড়ছে গার্মেন্টস পণ্যের রফতানি
- গোবিন্দগঞ্জে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ!
- চালু কেন্দ্রে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা
- গাছ পাগল আনোয়ার হোসেন
- প্রথমবারের মতো ফ্রান্স যাচ্ছে দিনাজপুরের লিচু
- `১৩টি বিসিএসে ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ`
- ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের ব্যাখ্যা জানতে চায় বাংলাদেশ: প্রতিমন্ত্রী
- দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির ৪৩ নেতাকর্মী আজীবন বহিষ্কার
- কোরবানির পশুর দুধ পান করা কি জায়েজ?
- সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
- রংপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৪ লাখ পশু
- কুড়িগ্রামে শ্রমজীবীদের পিপাসা মেটাতে লেবুপানি বিতরণ
- শিশুদের জন্মগত বাঁকা পা কোনো সমস্যা নয়
- ‘পরিবেশ দূষণ রোধে পলিথিন-প্লাস্টিক বর্জন জরুরি’
- জাতীয় পরিবেশ পদক পেলেন বেরোবি’র অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ
- যে লক্ষণগুলোতে বুঝবেন আপনার ভিটামিনের অভাব
- গণমাধ্যমকর্মী বিল যাচাই-বাছাইয়ে আরও ৯০ দিন সময় চান ইনু
- সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার ৮০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা
- রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস বুধবার
- সৌদি পৌঁছেছেন ৫৭ হাজার ১২৭ হজযাত্রী
- সুবর্ণ এক্সপ্রেসে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে কোরিয়ান রেক
- ৪৫ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা উঠার পূর্বাভাস
- ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে’
- ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা দলে আসতে পারবেন না: হানিফ
- নির্বাচনে বাধা দিলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে: কাদের
- `যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি তুলাতে বিষবাষ্প ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না`
- মেঘের গর্জন হলে যে দোয়া পড়বেন
- কাঠফাঁটা এই গরমে দুপুরের মেনুতে রাখুন আম-চিংড়ির ভাপা
- বিরল রোগে আক্রান্ত চার বছরের শিশু আকাশ
- আন্দোলনের সময় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিএনপি
- সেবাদানে সরকারি কর্মচারীদের আন্তরিক হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিমান বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
- দেশের উন্নয়নে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
- শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরেছে: তথ্যমন্ত্রী
- চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে নিহত ১
- মেঘের গর্জন হলে যে দোয়া পড়বেন
- বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিল গৌরবের
- ডোমারে মুখে কালো রং মেখে ডাকাতি করতো তারা
- কোয়ার্টারে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা
- ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ ইউনূসের বিরুদ্ধে
- টিকটিকি গলায় দিয়ে কানে ঊর্বশী!
- সরকারি খরচে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
- দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম, আদৌ স্বাস্থ্যকর কি?
- আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় এবং পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে যে দুই বাক্য