• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্রহ্মপুত্রে বিলীন ইউনিয়নের একমাত্র স্কুল অ্যান্ড কলেজটি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোববার (১৮ জুন) সকালে ইউনিয়নের একমাত্র দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, মূল ভবনটি ২০২০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর হস্তান্তর করে। গত বছর তীব্র ভাঙনে নয়ারহাট ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়। ভাঙনে বিলীন হয় দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাংশও। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করলে নামমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। তবে গত এক বছরে ভাঙনের কবল থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে আবারও ভাঙনের কবলে পড়ে ইউনিয়নের একমাত্র স্কুল অ্যান্ড কলেজটি বিলীন হয়ে গেল। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে দক্ষিণ খাওরিয়া বাজারসহ স্থানীয় শতাধিক বসতভিটা। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি নয়ারহাট ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অষ্টমীরচর ইউনিয়নসহ দুই ইউনিয়নের একমাত্র কলেজও এটি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিলীন হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিঘ্নিত হয়ে পড়ল।

নয়ারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন অব্যাহত থাকে। কিন্তু যে সময় ভাঙনরোধে কাজ করার দরকার সে সময় কোনো কাজ হয় না। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে আগামী দুই মাসের মধ্যে কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমিসহ শতাধিক বসতভিটা বিলীন হয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে। একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হওয়ায় এই চরাঞ্চলের অভাবী মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছিল। ভবনটি বিলীন হলেও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করেছি।

এছাড়া গতমাসের শেষের দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরভগবতীপুরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে করে চরভগবতীপুরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ চরভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। চলতি মৌসুমে পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদ-নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে ভাঙনের আতঙ্ক।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –