• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন বেড়েছে তিস্তা পাড়ে

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন বেড়েছে তিস্তা পাড়ে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা বামতীরের ২০টি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। 

তিস্তা নদী তীরবর্তী খিতাবখা বড়দরগা থেকে বুড়িরহাট বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনে প্রায় ৫০টি বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে খিতাবখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়ের দ্বিতল ভবন, চর খিতাব খা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বুড়িরহাট বাজারটিসহ অনেক স্থাপনা। 

খিতাব খাঁতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই এলাকার ছামসুল, নায়েব আলী, জিয়াউল, রোস্তম, হানিফ, মাহবুল, আদর উদ্দিন, অফিকুল, ছামাদ আমিনুল, অতুল, নুর ইসলাম, নুরুল, নুর মোহাম্মদ, খয়ের উদ্দিন, আবদুল করিম, রশীদ, রেজাউলসহ অনেকের বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

এরই মধ্যে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তিস্তায় স্থায়ী ভাঙনরোধে সরকারের পরিকল্পনা থাকায় বড় কোনো প্রকল্প চলমান নেই। এ কারণে ভাঙন কবলিত এলাকা গুলোতে জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরপাঠ এলাকার আমিনুল জানান, বুড়িরহাটের পাড়ের মাথা দেবে যাওয়ায় পাড়ের পাশ দিয়ে পানির স্রোত তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। পাড়ের বাকী অংশ ঠেকানো না গেলে ভাঙন তীব্র হয়ে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –