– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –
  • শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩০

  • || ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর দিনাজপু‌রে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর রংপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি ‘সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটছে’ অপহরণ নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২

চিলমারীতে বাঁধের ধস ঠেকাতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে পাউবি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল, সড়কটারী দক্ষিণওয়ারীসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাঁধে ধস নামা শুরু হয়। তবে বাঁধের ধস ঠেকাতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্ট বন্যায় হঠাৎ পানির চাপে বাঁধে ধস দেখা দেয়। বাঁধের এমন ধসে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বন্যার পাশাপাশি ভাঙনের কবলে পড়ে আবারও ঘর-বাড়ি হারাতে হবে। বালু পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে একরের পর একর ফসলি জমি।

কাঁচকোল এলাকার বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম বলেন, এই বাঁধটি হওয়ায় আমাদের এখানকার প্রায় ৪ গ্রামের মানুষের খুবই উপকার হয়েছে। হঠাৎ বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। দ্রুত বাঁধটি রক্ষা করা না হলে গ্রামগুলো বন্যার কবলে পড়বে। আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের খুব ক্ষতি হবে।

দক্ষিণওয়ারি গ্রামের বাসিন্দা মো. খায়রুল কবির বলেন, আমরা দুই দিন ধরে খুব আতঙ্কে ছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত করেছে। এখন পানি কমছে, আশা করছি স্থায়ী সমাধান হবে।

রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বাঁধটি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যদি পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙে যেত তাহলে আমার ইউনিয়নের অর্ধেক এলাকার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়তো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঁধটির ধস ঠেকাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। দিন-রাত ওখানে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ধস ঠেকানো গেছে। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করেছে। সারাক্ষণ তাদরকি চলছে, আশা করছি বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত করতে পারবো।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –