– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –
  • শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩০

  • || ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর দিনাজপু‌রে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর রংপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি ‘সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটছে’ অপহরণ নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২

তিস্তায় কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছে শত পরিবার। ‘আমার সব নদীতে ভেসে গেছে, এখন কোথায় থাকব?’ চোখের পানি মুছতে মুছতে চর গতিয়াশাম গ্রামের বানু মামুদ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘১০ বছরে আমার বাড়ি চার বার ভাঙল, এবারেও বাড়ি ছাড়া লাগল। এক একর জমি ছিল ভাঙতে ভাঙতে চার শতক জমি আছে তার ওপর ঘর তুলে কোনো রকমে বসবাস করছিলাম, তাও নদীতে চলে গেল।’

বুড়ির হাট স্পার বাঁধ থেকে শুরু করে উত্তরে প্রায় তিন কিলোমিটার গিয়ে দেখা গেল আরও ভয়াবহ চিত্র। একদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্রমিকরা বালুর বস্তা ফেলছেন। অন্যদিকে নদীর বিনাশী খেলায় ভেঙে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীরা ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষজন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে ঐ এলাকার প্রায় ৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির চর গতিয়াশাম, চর নাখেন্দা, বুড়িরহাট, বড়দগরগাহ এলাকা সমূহের ওপর দিয়ে তিস্তা নদী বয়ে চলছে। নদীর গভীরতা কম থাকায় ভাঙন লেগেই আছে। ৮ নম্বর ইউপি সদস্য মামুন বলেন, ‘পাশেই তিনটা গ্রাম ছিল। চর গতিয়াশাম, চর নাখেন্দা, বড়দগরগাহসহ কয়েক দিনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। প্রতি বছর যেভাবে বাড়ি ঘর ভাঙছে, আবাদি জমি নদীতে যাচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই। প্রতি বছর ১ হাজার থেকে ৩ হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।’  তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষের প্রাণের দাবি তিস্তা নদী খনন করা হোক। কিন্তু অদ্যাবধি তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে এভাবে নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। ভাঙনকবলিত এলাকায় আমরা জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি।’

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –