জাতীয় পর্যায়ে “হাতিয়া গণহত্যা দিবস” পালনের দাবি
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩
আজ ১৩ নভেম্বর। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার “হাতিয়া গণহত্যা দিবস”। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম নারকীয় এই হত্যাকান্ডের ইতিহাস “হাতিয়া গণহত্যা” দিবস হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলে ও কুড়িগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় এই গণহত্যা স্বাধীনতার ৫২বছরেও “হাতিয়া গণহত্যা” দিবস হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় আজও নিহত শহীদের স্বজনরা স্থানীয়ভাবে স্বরণ করে আসছে দিবসটি। তারা সরকারি ভাবে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালনের দাবী জানান।
১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর শুক্রবার। ২২ রমজান। ট্রেন যোগে পাঁচশর মতো বর্বর পাকিস্থানি সৈন্য উলিপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় কুড়িগ্রাম থেকে। পথিমধ্যে ৩ ভাগ হয়ে হাতিয়ার দিকে যাত্রা করে তারা। সেই নারকীয় রক্তঝরা দিনটি ছিল ১৩ নভেম্বর ২৩ রমজান শনিবার। গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ সেহরী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে। কেউ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আবার অনেকেই ফজরের নামাজের সুমধুর আজানের ধ্বনি শুনে নামাজের জন্য মসজিদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর মর্টার সেল আর বন্দুকের অবিরাম গুলিবর্ষনে প্রকম্পিত হয়ে উঠে হাতিয়ার দাগারকুটি গ্রামসহ আশপাশের গ্রাম গুলো। সহজ সরল নিরীহ মানুষগুলো কিছু বুঝে উঠার আগেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার,আলবদর,আল-সামস বাহিনী মিলে গ্রামের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। আর সাথে চলতে থাকে লুটপাট ও নির্যাতন। এরকম পরিস্থিতিতে এলাকার নিরীহ মানুষজন জীবন বাঁচানোর জন্য এদিক ওদিক এলোাপাতারী ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর ছোড়া বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণে মানুষজন জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত, ঝোপ-ঝাড়ে শুয়ে জীবন রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। অনেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে জীবন বাচাঁনোর চেষ্ঠা করে। কিন্তু অসহায় মানুষের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে আসে এলাকার আকাশ-বাতাস। এসব অসহায় মানুষের জীবন বাচাঁনোর চেষ্ঠা মুহুর্তেই শেষ হয়ে যায়। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের সহযোগীতায় আত্মগোপন করা মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে এসে দাগারকুটি গ্রামে সারিবদ্ধ ভাবে ৬৯৭ জনকে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন মায়ের কোলের শিশুটিও রক্ষা পায়নি। সারা দিন ব্যাপী চলে হানাদার বাহিনীর হত্যা আর অগ্নিসংযোগ। আগুনে পুড়ে যায় বাগুয়া অনন্তপুর,দাগারকুটি,হাতিয়া বকশী,রামখানা,নয়াদাড়া,নীলকন্ঠ,যমুনা,মন্ডলেরহাটসহ আশ পাশের গ্রামের শতশত ঘর-বাড়ী। মুহুর্তে গ্রামগুলো পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। সেদিন পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার,আল-বদর, আল-সামস বাহিনীর সহযোগীতায় উপজেলা শহর হতে প্রায় ৮কিঃ মিঃ পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেষে হাতিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতশত মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। সেগুলো আজ শুধুই স্মৃতি। দাগারকুটি গ্রামটিকে ঘিরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে এলাকার মানুষজন প্রতি বছর শহীদদের স্মরণ করে আসছে।
কিন্তু গত আড়াই দশকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দাগারকুটি গ্রামটিকে বিলীন করে দিয়েছে। বর্তমানে অনন্তপুর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন করে স্মৃতিসৌধ করে দিবসটি পালন করে আসছে শহীদ পরিবারগুলো সহ উলিপুরবাসী। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারগুলো এবং কুড়িগ্রামবাসী “হাতিয়া গণহত্যা দিবস” হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার দাবী জানানো হয়।
হাতিয়া গণহত্যা বিদস দিবস পালন কমিটির আয়োজনে সোমবার সকালে অনন্তপুরে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনসভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুড়িগ্রাম-৩আসনের এমপি অধ্যাপক এমএ মতিন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু,উপজেলা নিবাহী কমকর্তা আতাউর রহমান,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মতি শিউলি, আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আহসান হাবীব রানা,উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা,হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া প্রমুখ।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত, বজ্রবৃষ্টির আভাস
- মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত কবে, জানালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- প্যারিস অলিম্পিকের প্রথম সোনা চীনের
- মার্কিন নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন কমলা হ্যারিস
- নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে
- আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষেঃ আলোচনায় বসবে সরকার
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক
- মেসির ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে চাকরিচ্যুত দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা
- সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিচের গ্রেডে জনবল ঘাটতি, শীর্ষে অতিরিক্ত
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উর্বশীর ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে আলোচনা
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- কুড়িগ্রামে বানের পানিতে ভেসে গেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মাছ
- হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
- জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে রাজাকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেফতার
- ঢাকায় ১৪ প্লাটুন আনসার মোতায়েন
- আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র করছে: ডিবিপ্রধান
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- ধরলা গিলছে মেলেটারির চর
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- জনদুর্ভোগ তৈরি থেকে বিরত থাকুন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় শাহরুখের মেয়ে, ছবি ভাইরাল
- ছেলের চিৎকারে এগিয়ে গেলেন বাবা, প্রাণ গেল দুজনেরই
- দেশে ফিরেছেন ৩২ হাজার ৮৫৬ বেশি হাজি, মৃত্যু আরো ২
- কুড়িগ্রামের কিছু এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতি
- একজন প্রকৃত মুমিনের গুণাবলি ও পরিচয়
- কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সোয়া লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
- বানভাসিদের পাশে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ
- স্কুল ব্যাগে মাদক নিয়ে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি, অতঃপর...
- ৪ দিন ধরে নৌকায় বসবাস বৃদ্ধ দম্পতির
- চমকের প্রথম নয় দ্বিতীয় স্বামী নাসির
- আবারও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমার নদের পানি
- কুড়িগ্রামে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- জানা গেল ‘দরদ’ সিনেমা মুক্তির সময়
- কুড়িগ্রামে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি
- রংপুর মেডিকেল কলেজের ডরমেটরি থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার