• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থাভাবে পড়ে আছে প্রাচীনতম কালীমন্দিরের সংস্কার

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩  

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাচীনতম কালীমন্দিরের সংস্কারকাজ। স্থানীয়রা জানান নাগেশ্বরী পৌরসভার পূর্ব সুখাতি সেনপাড়া (কানিপাড়া) এলাকার পুরনো কালীমন্দিরটি বেহাল অবস্থায় পড়েছিলো দীর্ঘদিনযাবত। মরিচা ধরা চাল ও বারান্দার টিনে ফুটো হয়ে অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো মন্দিরটি। ফলে পুজা অর্চনা করার মতো পরিবেশও ছিলো না কিছুদিন আগেও। এতে করে ধর্ম পালন ব্যহত হয়েছিলো সেখানকার হিন্দু ধর্মানুরাগীদের।

স্থানীয়রা আরও জানান মৃত জসমন্তর সেনের পূর্ব পুরুষরা বৃটিশ শাসন আমলে খরকুটো দিয়ে নির্মাণ করেন এই কালী মন্দির। তখনকার দিন থেকেই খরকুটো দিয়ে তৈরি মন্দিরে পূজা করে আসছিলেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারও লোক। এভাবেই কয়েকযুগ অতিবাহিত হলেও এ মন্দিরে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও এ মন্দিরের সংস্কার না হওয়ায় অবহেলা আর অযত্নে পরে থাকার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মন্দিরটির সংস্কার কাজ শুরু করলেও অর্থাবাবে সেটিও থমকে আছে। ঘরে নেই চাল, নেই দেয়ালের পলেস্তারাও। এতে করে পূজা অর্চনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হিন্দু ধর্মপ্রিয় মানুষ।

স্থানীয় ননী গোপাল সেন, সুশীল চন্দ্র সেন জানায়, তাদের ওই এলাকার সকল নারী-পুরুষ কালীপূজার সময় পুজা করেন। অথচ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হয়েও এটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানায় ওই এলাকার অধিকাংশ হিন্দু পরিবার দরিদ্র হওয়ায় নিজস্ব খরচে সংস্কার করার সামর্থ্যও নেই তাদের।

মন্দির কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র সেন, সাধারণ সম্পাদক নগর চন্দ্র চন্দ্র সেন ও কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার সেন জানায়, অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা মন্দিরটিত পূজা অর্চনা করার জন্য আমরা নিজেরাই এর সংস্কার কাজ শুরু করি। কিন্তু টাকার অভাবে কাজ শেষ করতে পারছি না আমরা। ফলে কালীমন্দিরের কাজ দূর্গামন্দিরে গিয়ে করতে হয়। মন্দিরটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন যায়গায় দেন দরবার করেও এটি সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসছে না।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –