• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নরমাল ডেলিভারিতে এগিয়ে চরের নারীরা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৪  

ব্রহ্মপুত্র নদ দারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১ বছরে প্রায় দেড় হাজার গর্ভবর্তী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এত সংখ্যক নরমাল ডেলিভারির ঘটনা কুড়িগ্রামে বিরল। অপর দিকে অনেকে নরমাল ডেলিভারি না করে ঝুঁকছেন সিজারিয়ান অপারেশনের দিকে। যার ফলে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন নারীরা।

কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে শুধু রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ হাজার ৩৪৫ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৭৯ জন ও সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১ হাজার ৪১০ জন গর্ভবর্তী প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের আন্তরিকতার ফলে নরমাল ডেলিভারি সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে জেলায় গত এক বছরে কত পরিমাণে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে তা জানা যায়নি।

রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৪-৫ বছর আগে কিছু সংখ্যক সিজার হতো হাসপাতালটিতে। পরে সার্জন ও লোকবল সংকটের ফলে তা বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩ বছর থেকে একটিও সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়নি এখানে। যা করা হয়েছে সব নরমাল ডেলিভারি। 

রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের আফজাল হোসেন বলেন, আমি গত ৬ মাস আগে প্রথম ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছি। রৌমারী হাসপাতালে আমার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। টাকা পয়সাও খরচ হয়নি। যেটা খরচ হয়েছে তা সামান্য।

রৌমারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা খুবই আন্তরিক। যার কারণে দিন দিন এখানে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনও হয়েছে এক সপ্তাহে শতাধিক নরমাল ডেলিভারি হয়েছে এখানে।

তিনি আরও বলেন, অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি অনেক ভালো। কারণ এটা প্রাকৃতিক। আর সিজারে অনেক সমস্যা দেখা যায়। আমরাও সিজার করি, যখন দেখি কোনোভাবেই নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ ৩ থেকে ৪ বার পর্যন্ত সিজার করে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরেও আমাদের এখানে লোকবল প্রয়োজন। কেননা মাঝে মাঝে তো দুই একজনের সিজারের প্রয়োজন হয়।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর এ মোর্শেদ জানান, ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিকতার ফলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক বেশি নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করছি বাড়িতে নরমাল ডেলিভারি না করে আমাদের হাসপাতালে আসেন। রৌমারীতে কিন্তু অনেক চর ও দুর্গম চরাঞ্চল রয়েছে। সেখান থেকেও তারা আমাদের হাসপাতালে এসে নরমাল ডেলিভারি করাচ্ছেন। আমাদের আন্তরিকতার কারণে দিন দিন নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বেশি হচ্ছে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –