• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নাগেশ্বরীতে সুস্থ হতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত মোকারাম

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪  

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রাম সবুজপাড়া। ওই গ্রামের দিনমজুর কোরবান আলীর ছেলে মোকারাম (২৩)। বিরল লিপোড প্রোটিনোসিস রোগে ভুগছেন তিনি। ইচ্ছা করলেও হাঁটতে পারেন না। পারেন না বসতেও। পুরো শরীরে ব্যথা।

ছেলেকে সুস্থ করতে শেষ সম্বল বিক্রি করেও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেননি মোকারামের বাবা কোরবান আলী। এ অবস্থায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবারটি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর থেকে মোকারাম সুস্থ ও সবল ছিলেন। নিয়মিত পড়াশোনা ও বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটাতেন। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন মোকারাম। সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হলে মোকারামের বাবা ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। দীর্ঘদিন ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে কাজ না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। ততদিনে মোকারামের পুরো শরীর ঢেকে গেছে লিপোড প্রোটিনোসিস নামের এ বিরল রোগে।

চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা করালে মোকারামের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ রোগের চিকিৎসা খরচ খুবই ব্যয়বহুল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছে পরিবারটি।

মোকারাম বলেন, ‘সারাদিন বিছানায় শুয়ে দিনকাটে। ইচ্ছে করলেও হাঁটতে পারি না, খেলতে পারি না। খুব কষ্ট হয়। খাবারের রুচি দিনদিন কমে যাচ্ছে। আমি সুস্থ হতে চাই। আমি ভালোভাবে বাঁচতে চাই।’

মোকারামের বাবা কোরবান আলী বলেন, আমার ছেলে মোকারাম ছোট থেকেই এ রোগে আক্রান্ত। অনেক চিকিৎসা করিয়েও সুস্থ করতে পারিনি। দিনদিন তার শরীর শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারা কতটা কষ্টের তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। ছেলেকে সুস্থ করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, মোকারামের চিকিৎসার খরচ জোগাতে জমিজমা বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে পরিবারটি। যদি উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে হয়তো ছেলেটা সুস্থ হয়ে উঠতো।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, এ রোগটি অত্যন্ত বিরল। এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালে মোকারাম সুস্থ হতে পারে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –