• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘এতিম হয়ে পুলিশের চাকরি পাবো কখনো ভাবিনি’ 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪  

‘আমার বাবা ভিক্ষা করতেন। মা ছিলেন রাজমিস্ত্রির জোগালি। সংসারে খুব অভাব থাকায় বাবা-মা আমাকে এতিমখানায় রেখে দেন। সেখানেই থাকতাম আমি। হঠাৎ বাবা মারা যান। পরে মা বিয়ে করে চলে যান অন্যত্র। আমার কী হবে এ চিন্তায় ভেঙে পড়ি। এখন পুলিশে চাকরি পেয়ে আমি খুশি। এতিম হয়ে পুলিশের চাকরি পাবো কখনো ভাবিনি।’

এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হাসানুর রহমান (১৯)। শুধু হাসানুর রহমান নন, কুড়িগ্রামে আরও ৫১ জন নারী-পুরুষের চাকরি হয়েছে কনস্টেবল পদে। চাকরি পেয়ে তারাও আনন্দিত।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৫২ জনের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। এ ধাপের পরীক্ষা শেষে ৫৭৭ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় ২৬৮ জন উত্তীর্ণ হয়ে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।

পুলিশে চাকরি পাওয়া হাসানুর রহমান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখ্যাতি বোর্ডঘর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি নাগেশ্বরী পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার গোলাপ খাঁ শিশু শোধন কেন্দ্রে (এতিমখানা) বড় হয়েছেন। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি ও নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তির জন্য আবেদনও করেছিলেন হাসানুর রহমান। এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ও ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –