• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তারেকের বিরোধিতা করায় পদ হারালেন আখতারুজ্জামান 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

    
বিএনপিতে ধীরে ধীরে খালেদা জিয়া অনুসারী নেতাদেরকে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই দলীয় ক্ষমতা চলে যায় তার পুত্র লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের হাতে।

এরপর থেকেই তিনি দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন। একে একে বহিষ্কার ও প্রত্যাহার করতে থাকেন খালেদাপন্থী সিনিয়র নেতাদের। তার এই বহিষ্কারের সর্বশেষ বলি হলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান রঞ্জন। শুধু খালেদা জিয়ার অনুসারী হওয়ার কারণেই তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা আক্তারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, খবরটা শুনে শুরুতে আমার হাসি পেল। পরে ভেবে ভালোই লাগলো যে, এখনো বিএনপিতে আমার গুরুত্ব ছিল! তবে কষ্টও পেলাম। কেন কষ্ট পেলাম তা আর না বলি।

তিনি বলেন, আমি খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং সেই সঙ্গে তারেক রহমানের সফলতা কামনা করি। আমি অনেক দিন থেকেই জানি তারেক রহমানের সঙ্গে আমার রাশি বিপরীতমুখী।

তিনি বলেন, বিএনপির একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমাকে ফোন করে বললেন, আপনাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শুনলাম। আমি তাকে বললাম, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি এই মুহূর্তে গ্রামে নতুন করে টমেটোর চারা লাগাচ্ছি। পত্রিকা পড়ার সুযোগও হয়নি। দাফতরিকভাবে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান কখনোই আমার মতো করে ভাবেন না। আমি পরাজিত হলে দারুণভাবে খুশি হবো। কারণ তাতে সম্ভবত তারেক রহমানেরই জয় হবে। আমি এখন আমার মতো ভাববো, লিখবো এবং বলবো।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় আখতারুজ্জামান রঞ্জন এর বহিষ্কারের তথ্যটি। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৫ এর ‘গ’ ধারা মোতাবেক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের কাছে তিনি হেরে যান।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –