পুলিশের সাইবার পেট্রোলিংয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছেনা জঙ্গীরা
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২০
দেশের ভেতরে যে কারণে জঙ্গীরা সংগঠিত হয়ে জঙ্গী হামলার প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেয়ার আগেই ধরা পড়ায় তার নেপথ্যের কাহিনী জানা গেছে। আর এটার নেপথ্যে রয়েছে পুলিশের ‘সাইবার পেট্রোলিং’। সাইবার পেট্রোলিং- এটা পুলিশের জঙ্গী সদস্য শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য নতুন কৌশল। এই কৌশলের কাছে হার মানছে জঙ্গী সংগঠন ও জঙ্গী সদস্যরা। জঙ্গী আস্তানা তৈরি, ট্রেনিং প্রদান, অপারেশন প্ল্যান, অস্ত্র সংগ্রহ, অর্থ যোগানসহ জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা করার আগেই ধরা পড়ে যাচ্ছে জঙ্গী সদস্যরা। এ কারণে জঙ্গী সংগঠনকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না পুলিশ। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ দুর্যোগের সময়েও জঙ্গীরা সংগঠিত হতে গিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে অন্তত শতাধিক জঙ্গী। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, সাইবার পেট্রোলিং করার কারণে আগে যেভাবে একটা আস্তানা গেড়ে সেখানে ট্রেনিং দিত, আমির থাকত, অপারেশন প্ল্যান ও অস্ত্র সংগ্রহ করত এসব আর আগের মতো নেই। একেবারেই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে তারা। শুরুতে কিংবা মাঝপথেই কোন পরিকল্পনা নেয়ার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কিশোর-তরুণরা কী করছে, ইন্টারনেট ব্যবহার কীভাবে করছে, সেগুলোতে অভিভাবকদের দৃষ্টি থাকলে ঘরে বসে জঙ্গীবাদের প্রচার, প্রসার চালানোসহ জঙ্গী সংগ্রহের বিষয় ও জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষটি সমূলে উপড়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই কথিত হিজরতের নামে রাজধানী থেকে ঘর ছেড়েছিল সাফফাত নামের এক কিশোর। দেড় মাস চাঁদপুরে থেকে ঢাকায় ফিরে এলে গত ১৭ আগস্ট সদরঘাট এলাকা থেকে ইয়াছির আরাফাত শাস্তসহ সাফফাতকে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গীবাদে দীক্ষা নেয়ার প্রক্রিয়াও আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে সাফফাত। একজন জঙ্গী ধরা পড়লে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে সাইবার পেট্রোলিং করা হচ্ছে। এতে সহযোগী জঙ্গীরা পুলিশের সাইবার পেট্রোলিং খাচার ভেতরে ঢুকে পড়ছে। এভাবেই জঙ্গী ধরার ক্ষেত্রে সাইবার পেট্রোলিঙের কাজ করছে পুলিশের বিভিন্ন দক্ষ ইউনিট।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে রাজধানী ঢাকার গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার পর জঙ্গী মোকাবেলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের জঙ্গীবাদ দমনে পুলিশের মধ্যে গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন ইউনিট, যারা জঙ্গীবাদ দমনে দক্ষ। পুলিশসহ যেসব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ ও দমনের দায়িত্বে দক্ষ ইউনিট গঠন করা হয়েছে তার মধ্যে আছে পুলিশের বিশেষ সংস্থা এ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), পুলিশ সদর দফতর, জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম শাখা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর (ডিজিএফআই) একযোগে অনলাইনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গীবাদের প্রোপাগান্ডা ও কার্যক্রম বন্ধের জন্য কাজ করছে। তারপরও জঙ্গীরা থেমে নেই। দেশের কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের এসব ইউনিটের হাতে ধরা পড়ছে জঙ্গী সদস্য।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে জঙ্গী দমনের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে জঙ্গী সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়লেও অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই করোনা পরিস্থিতিতেও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গীরা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফিজিক্যাল ও কঠোর সাইবার পেট্রোলিংয়ের কারণে চূড়ান্ত পরিকল্পনার আগেই ধরা পড়ে যাচ্ছে তারা। আগে যেভাবে একটা আস্তানা নিয়ে ট্রেনিং দিত, আমির থাকত, অপারেশন প্ল্যান ও অস্ত্র সংগ্রহ করত, এখন সেই অবস্থায় নেই জঙ্গীরা। সামনে আসার মতো শক্তি জঙ্গীদের নেই বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব বিভাগেই এ্যান্টি টেররিজম ইউনিট অভিযান চালিয়েছে। আবার অনেক জঙ্গী সংগঠন ভেতরে ভেতরে অনলাইনে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সংগঠিত হওয়ারও চেষ্টা করছে। তবে সামনে আসার মতো শক্তি নেই, জঙ্গী সংগঠনগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। জঙ্গীদের প্রকাশ্য যে রূপটা ছিল, সেটা এখন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সময়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অন্তত ৩৪টি মামলা করেছে পুলিশের এ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। এ সময়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সাইবার পেট্রোলিংটা পুরোপুরি চালু থাকায় জঙ্গীরা সফল হতে পারছে না বলে পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তরা মনে করেন।
পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে জঙ্গীরা। জঙ্গীদের কার্যক্রম ও কৌশলও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রপ্ত করেছে। অনলাইন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার পেট্রোলিং থাকায় জঙ্গীরা বড় কোন কার্যক্রমে সফল হতে পারছে না। তবে তারা বসেও নেই। তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জঙ্গী তৎপরতার এসব কার্যক্রম চালাতে পৃষ্ঠপোষক লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই পৃষ্ঠপোষক জঙ্গীরা পাচ্ছে বলে মনে হয় না। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এ ধরনের জঙ্গী সংগঠন টিকে থাকতেও পারে না। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কারণেই সর্বদা সতর্ক আছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের (এসএজি) এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিসহ জঙ্গীবিরোধী বড় বড় অভিযানে ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে সফল ভূমিকা রেখেছেন সিটিটিসি। আগে যেভাবে দেশে জঙ্গীবাদের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল, বর্তমানে সেই সাংগঠনিক কাঠামো আর নেই। অর্গানাইজড কাঠামোতে জঙ্গীরা আগে যেভাবে ট্রেনিং, রিক্রুটমেন্ট, অপারেশন প্ল্যান এবং অস্ত্র সংগ্রহ করত, সেই অবস্থাতে তারা একেবারেই নেই। অব্যাহত অভিযান ও নজরদারির কারণে তারা দুর্বল হয়ে গেছে। নতুন করে লিডারশিপও গড়ে তুলতে পারছে না। রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া যদি সচল না থাকে, ফিজিক্যালি যদি কন্ট্যাক্ট করতে না পারে, তাহলে লিডারশিপটাও ডেভেলপ করে না। তবে এই অবস্থাতেও তারা যে চেষ্টাটা করে, সেটা হচ্ছে অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কাউকে উদ্বুদ্ধ করে, স্থানীয়ভাবে কোন ধরনের কিছু করা যায় কিনা। কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও কোন পরিকল্পনা নেয়ার আগেই আমরা সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে অনেককে গ্রেফতার করেছি। ফলে জঙ্গীদের কার্যক্রম পরিচালনা করাটা এখন বাংলাদেশে কষ্টকর হয়ে গেছে। কারণ, আমাদের একাধিক ডেডিকেটেড ইউনিট ফিজিক্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পেছনে লেগে আছে বলে পুলিশের (এসএজি) কর্মকর্তার দাবি।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- শান্তর মান-ইজ্জত বাঁচালেন উগান্ডার অধিনায়ক
- হজ কাদের ওপর ফরজ, কাদের ওপর নয়?
- গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- জলবায়ুর অভিঘাতের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়: পরিবেশমন্ত্রী
- ইয়াবা সেবন করে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
- দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার, পুরুষ বেকার বেশি
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ
- দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- নাগেশ্বরীতে বাৎসরিক মিলনমেলা উৎসব
- কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্রলীগের সমাবেশ
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- রংপুরে র্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- টেলিস্কোপ তৈরি করলো রাজারহাটের ফারাবী
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- রাজিবপুরে ইসতিসকা নামাজ আদায় ও দোয়া প্রার্থনা
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- ফুলবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট সেন্টারের উদ্ভোধন
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- কুড়িগ্রাম মাদকের বিরুদ্ধে শিশু-কিশোরের স্মারকলিপি প্রদান