• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্দোলনের মুখে বড়পুকুরিয়ায় উৎপাদন বন্ধ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ মে ২০২২  

আন্দোলনের মুখে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সুযোগ, কর্মহীনদের কাজে যোগদান ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা যৌথ আন্দোলনে নামলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার সকালে খনি এলাকার ভেতর ও বাইরে শ্রমিকদের সমাবেশে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, শ্রমিক নেতা ওয়াজেদ আলী, হযরত আলী, এরশাদ আলী, খনি শ্রমিকের স্ত্রী রোজি বেগম প্রমুখ। দাবি না মানলে খনি গেটেই ঈদ জামাত আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়।

বক্তারা বলেন, খনি শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের বাইরে বের হতে দেয়া হয় না। এমনকি বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা মারা গেলেও বের হতে দেয়া হয় না। সেই সঙ্গে কর্মহীন শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলন করছেন।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান ও জেনারেল ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকদের পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। ‘এরপরও তাদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তারা।

কর্মহীন শ্রমিকদের কাজে যোগদান প্রসঙ্গে এই দুই কর্মকর্তা জানান, উৎপাদনে থাকা ১৩১০ নম্বর কোলফেইজের মজুত এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় কয়লা উত্তোলন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যেত। এখন ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। এজন্য অন্তত সাড়ে তিন মাস সময় লাগবে। কয়লা উৎপাদন শুরু হলেই পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিকের কাজে যোগদান করানো হবে।

খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িয়ে রয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এপএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়াম। এ কোম্পানির অধীনে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন শ্রমিক ২০২০ সালের ২৬ মার্চ লকডাউনের কারণে বেকার হয়ে পড়েন। যোগদান ও বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে খনি শ্রমিক ও আউটসোর্স কর্মচারীরা আন্দোলনে যান। পরে এপএমসি-সিএমসি পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সাড়ে ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারীকে কাজে যোগদান করায়। অবশিষ্টরা এখনও বেকার।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –