• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ভেঙে যাচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩  

গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।

গত ১১ জানুয়ারি বিএনপি এবং সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল। কর্মসূচি পালন করেছে সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চও। এরপর ১৬ জানুয়ারি আবার সারাদেশে সমাবেশ করে বিএনপিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে সেদিন গণতন্ত্র মঞ্চে যোগ দেয়নি নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ। কারণ হিসেবে জানা গেছে, যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে সেদিন গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যোগ দেয়নি গণঅধিকার পরিষদ।

যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতারা। সেখানে পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াও উপস্থিত ছিলেন। সেদিন ঐ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবে গণঅধিকার পরিষদ।

গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, গত ১১ জানুয়ারি দেশে ফেরেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দেশে ফেরার আগেই তিনি লাইভে বলেছিলেন, তিনি দেশে এসে গণতন্ত্র মঞ্চের গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতারাও বিষষটি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের জানান। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে পৌঁছানোর আগে মঞ্চের অন্য শরিকরা অনেকটা তাড়াহুড়ো করে কর্মসূচি শেষ করেন বলে অভিযোগ পরিষদের নেতাদের।

সেদিন গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ না পাওয়ার কারণে পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা অসন্তুষ্ট হন এবং সেদিনই এক ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় যে, তারা মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাবেন। 

এদিকে ১৬ জানুয়ারি মঞ্চের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি মঞ্চে অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আ স ম আবদুর রবকে।

অন্যদিকে বিএনপির সমমনা একাধিক জোটও ভাঙনের পথে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, এসব জোটের দলগুলো নামসর্বস্ব। একক নেতার ওপর ভিত্তি করেই এসব দল গড়ে উঠেছে, যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। 

সূত্রগুলো বলছে, এসব জোটের নেতারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায়ে আন্দোলের আড়ালে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। আর এ সমঝোতা বেশ অগ্রসর হয়েছে বলেও ঐ সূত্রগুলো দাবি করছে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরকারবিরোধী জোটগুলো ভেঙে যেতে পারে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –