• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দোয়া কুনুত জানা না থাকলে বিতর নামাজে কী পড়বেন?

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২৪  

নামাজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। তবে প্রতিদিন আবশ্যকরণীয় বা ফরজ ছাড়াও সুন্নত, নফল এবং বিবিধ নামাজ রয়েছে যা সময়ভিত্তিক বা বিষয়ভিত্তিক। আর এসব নামাজের মধ্যে বিতর নামাজ হলো অন্যতম।

এখন প্রশ্ন হলো, দোয়া কুনুত জানা না থাকলে বিতর নামাজে কী পড়বেন?

উত্তরের শুরুতেই বলি যে- বিতর অর্থ বিজোড়। বিতর নামাজের রাকাত বিজোড় সংখ্যক বিধায় এটিকে বিতর নামাজ বলা হয়। এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত বিতর পড়া যায়। প্রতিদিন এ সময়ের মধ্যে বিতর নামাজ পড়া ওয়াজিব।

বিতর নামাজে অন্যান্য নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়তে হয়। তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সূরা বা আয়াত পড়ার পরপর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয় এবং দোয়া কুনুত পড়তে হয়। তারপর অন্যান্য নামাজের মতো রুকু, কাওমা, সিজদা করে শেষ বৈঠকে বসতে হয় এবং তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে বিতর নামাজ শেষ করতে হয়।

দোয়া কুনুত একটি বড় দোয়া হওয়ার কারণে অল্পবয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী অনেকে দোয়াটি মুখস্ত রাখতে পারে না। এ রকম ক্ষেত্রে দোয়া কুনুত মুখস্ত করার চেষ্টা করতে হবে। মুখস্ত না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় রাকাতে সূরা-কেরাতের পর তাকবির দিয়ে দোয়া কুনুতের জায়গায় কোরআন হাদিসে বর্ণিত সহজ কোনো দোয়া পড়বে। যেমন- 

رَبّنَا آتِنَا فِي الدّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النّارِ.

উচ্চারণ: ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ ওয়া কিনা আজাবান-নার’।

অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যণ দান করুন, আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

অথবা তিনবার বলবে, ‘আল্লাহুম্মা-গফিরলি’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন!’

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –