ছাগল পালনে বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের নারীদের ভাগ্য
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩
ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ ছোট বড় ১৬টি নদ-নদী রয়েছে কুড়িগ্রামে। এসব নদ-নদীর অববাহিকায় থাকা প্রায় চার শতাধিক চরাঞ্চলে বসবাস করে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। বর্তমানে কুড়িগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ নদী নাব্যতা হারিয়ে শুকিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে মাছও। ফলে চরাঞ্চলের পাশাপাশি নদীর অববাহিকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাগল পালন। ছাগলের দাম কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ছাগল পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নারী।
তেমনি একজন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম (২০)। এক সন্তানের জননী তিনি। দারিদ্র্যের কারণে স্ত্রী মাজেদাকে রেখে কাজের সন্ধানে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান স্বামী। পরে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে মাজেদা আশ্রয় নেন তিস্তার জোওয়ান সাতারা এলাকায় বাবার বাড়িতে।
এদিকে প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি চরের মানুষের উন্নয়নে চর এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে এমজেএসকেএস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। সরকারের পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতেও সহায়তা করে। বেসরকারি সংস্থাটির সহায়তায় মাত্র চার বছর আগে চার হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন গৃহবধূ মাজেদা। বর্তমানে তার ছাগলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এখন পর্যন্ত ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকাও পেয়েছেন তিনি। তার পালন করা কিছু ছাগল বছরে তিনবার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবার ২ থেকে ৪টি করে বাচ্চা দেয় এসব ছাগল।
মাজেদা বেগম বলেন, ছাগলের জন্য চর এলাকার ঘাস ছাড়া অন্য কোনো অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয় না। এমনকি এটি লাভজনকও। মাজেদার প্রতিবেশী জোসনা বেগমের ১২টি, মরিয়ম বেগমের ৯টি, রাবেয়া বেগমের ৯টি, কাশেম আলীর ৮টি, মফিজলের ৮টি ও আবুল হোসেনের ৭টি ছাগল রয়েছে।
জোসনা বেগম বলেন, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশ দিয়ে তৈরি উঁচু জায়গায় ছাগল পালন করছি। আমরা সময় মতো ছাগলের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করি। উচ্চ জাতের ছাগল একবারে ৩ থেকে ৪টি বাচ্চা দেয় বলেও জানান তিনি।
একই চরের শেরিনা বেগমের স্বামী আজাদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে বন্যার সময় শুকনো জায়গা ও খাবারের অভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যান্য গৃহপালিত পশুসহ বেশ কিছু ছাগল মারা যায়। কিন্তু এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের তৈরি মাচায় ছাগল পালন করছি। আমার এখন ৬টি ছাগল, ৮টি ভেড়া ও ৬টি গরু রয়েছে। যেকোনো সময় অর্থের প্রয়োজন হলে আমি সেগুলো বিক্রি করতে পারি।
সুইস কন্টাক্টের জেলা সমন্বয়ক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা চরে কাজ শুরু করার পর চর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চরাঞ্চলে পশু লালন-পালনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গৃহপালিত পশুসহ তাদের বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য তারা পাবে বলে আমরা নিশ্চিত করেছি।
কুড়িগ্রামের চর এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় সুযোগ সুবিধার অভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ অনেক কম। ফলে অনেক সময় অল্প মজুরিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে চরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, জেলার মানুষের দুধ ও অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চরাঞ্চলের এসব গৃহপালিত পশু। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারের সকল সেবা প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে পৌঁছে দিতে আমরা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি। তিনি বলেন, আমরা চর এলাকায় গবাদিপশু পালন, রোগ শনাক্তকরণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- যৌতুক ছাড়াই একসঙ্গে বিয়ে করলেন দুই বন্ধু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- কারওয়ান বাজার র্যাম্প প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: ওবায়দুল কাদের
- মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো: প্রতিমন্ত্রী
- মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্মদিন আজ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন
- ২২তম তারাবিতে যা পড়া হবে
- নাগেশ্বরীতে ৬ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার
- যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ
- দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটে খুলেছে ৭ ফ্লাইওভার
- থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শন
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- রংপুরে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের