• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, তবুও চলছে ক্লাস

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩  

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানার সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বিমে ধরেছে ফাটল। এ অবস্থায় পাঠদানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়েই সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। বিদ্যালয়ের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে ২৭৫ জন ছাত্র ছাত্রী ও পাঁচজন শিক্ষক আছেন। প্রতিবছর এ বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া ও ছাদের বিমসহ বেশ কিছু স্থানে ফাটল। বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে পুনর্নির্মাণ করে দু-তলা ভবন করা হয়।

দু-তিন বছর আগে ভবনটির তিন কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরে এবং ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। সেই থেকে ক্লাস চললেও সমাধানের ব্যবস্থা হয়নি।

সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান জানায়, আগে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ রুমে পড়াশোনা করেছিলাম। পরে স্যাররা অন্য রুমে আমাদের ক্লাস নিচ্ছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সুভারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার তানজিনা মমতাজ বলেন, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি। যদি এ সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ছাত্র ছাত্রীদের আলাদা রুমে ক্লাস নিচ্ছি। তবে লাইব্রেরি আর পাশের রুমের অবস্থা খুবই খারাপ।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এন এম শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ২৩ আগস্ট আমাদের মাসিক সভা আছে। সেই সভায় সবার সম্মতি নিয়ে নতুন ভবনের জন্য ঢাকায় রিপোর্ট পাঠাবো।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেদুল হাসান বলেন, আমরা এরই মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের তালিকা উপজেলা এলজিইডি অফিসে পাঠিয়েছি। তারা যাচাই বাছাই করছে। রিপোর্ট দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাবো।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –