• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে কুড়িগ্রাম জেলার সবগুলো নদীর পান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার অষ্টমির চর, নয়ারহাটের বিভিন্ন চর এলাকা, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর এলাকা, রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর এলাকা, সদর উপজেলার যাএাপুর ইউনিয়নের চর এলাকা, রৌমারী উপজেলার কান্দাপাড়া, গোয়ালের চর, ফলুয়ার চর ও চর ঘুঘুমারী এলাকা এবং রাজিবপুর উপজেলার কোলপাড়া, চর সাজাই ও ভাটিরচর এলাকা  সহ জেলার প্রায় ০৩.০০ বর্গ কিঃমিঃ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যায়। 

কুড়িগ্রাম জেলার ৯ টি উপজেলার মোট আনুঃ ১,০০০ টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়।

কুড়িগ্রাম জেলায়  ৫,৬৮৩ হেক্টর ফসলি জমি, ০০টি মৎস্য খামার এবং ৫ টি স্থানে ৭৮০ মিটার বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও পুর উপজেলার বজরা, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে এলাকায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। 
 
জেলায় বর্তমানে জিআর (চাল)- ২৮০ মে:টন, জিআর (ক্যাশ) ১,৪২,৫০০ টাকা, শুকনা খাবার ৩,০০০ প্যাকেট, শিশু খাদ্য ০২ লক্ষ টাকা এব এবং গো-খাদ্য ০৫ লক্ষ টাকা মজুদ রযেছে।

জেলা প্রশাসন কর্তৃক ৩৬১ টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৭৫ টি নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে জিআর (চাল) ৭৯ মেঃটন ও জিআর (ক্যাশ) ৪,৩৩,০৫০ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতঃ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 
এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন ভাঙ্গন এলাকায় আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 উল্লেখ্য, দেশের দারিদ্র পিড়িত একটি জেলা কুড়িগ্রাম। প্রতিবছর বন্যায় জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীনসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতির বিপরীতে যে পরিমাণ সরকারী সহায়তা প্রদান করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে কুড়িগ্রাম জেলার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্ধের জন্য আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞগণ।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –