• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

চরাঞ্চলে সমন্বিত শাক-সবজি চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৩  

    
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাক-সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন ও জীবিকা। বন্যাকালীন  সবজি উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

প্রতিবছর বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয় কুড়িগ্রাম জেলায়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ। 

তেমনি একজন সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম (২২)। তিনি মাত্র চার শতক জমিতে সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি। এইটুকু জমিতে আবার পাশাপাশি লালশাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপণ করেছি। এখানে লাল শাক রোপণে আমাদের মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এ যাবৎ ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরও দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করব বলে আশা করছি। এভাবে ঠিকমতো যদি শাক-সবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এখনো শাক-সবজি চাষ চলমান রয়েছে। 

উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কদমেরতল এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হতে পারব।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –