• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রংপুরে বেড়েছে পেঁয়াজ-মুরগির দাম, ঝাঁজ কমেছে মরিচের

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১  

রংপুরে পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেও কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহখানেক আগে যে পেঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা কেজি এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। স্বস্তি মিলছে মরিচের ঝাঁজ কমাতে। তিন দিন আগে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর সিটি বাজারে পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তবে খুচরা বাজারের চিত্র ভিন্ন। প্রকারভেদে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০-২০ টাকা দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে শাক-সবজি, তেল, চালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বিক্রেতাদের দাবি, কয়েক দিনের ব্যবধানে আমদানি করা সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে দুদিন ধরে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম। এতে করে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ এখন প্রতি কেজি ১২০ টাকা। খুচরা বাজারে একই মরিচ বিক্রি হচ্ছে  ৩০-৪০ টাকা বেশি দরে।  

প্রতিদিনের রান্নার তালিকায় থাকা পেঁয়াজ ও মরিচের দাম বেশি হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর অক্টোবর মাসে ঠিক এ সময়ে পেঁয়াজের দাম নানা অজুহাতে বেড়ে যায়। আর এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।

সিটি বাজারে কথা হয় আব্দুল মজিদ নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের উপার্জন বাড়ছে না। এখন চালের চেয়ে মরিচ-পেঁয়াজের দাম বেশি। নিত্যপণ্যের দাম এত চড়া হলে আমরা মধ্যবিত্তরা কোথায় যাব? বাজার মনিটরিং করে সহনীয় পর্যায়ে রাখা গেলে সবার উপকার হতো।

শুধু পেঁয়াজ নয়, দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির। প্রতিদিনই একটু একটু করে দাম বাড়ছে। আগে যে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে এখন তা কেজিতে ২০ টাকা বেশি। পাকিস্তানি মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ২৭০-২৮০ টাকা, সোনালিকা ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে।

দাম বাড়ার বিষয়ে শাপলা চত্বর খাঁন বহুমুখী মার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, মুরগির আমদানি কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। তাছাড়া খামারিরা লোকসানের ভয়ে আগের মতো বেশি করে খামারে মুরগির বাচ্চা তুলছেন না। দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

সিটি বাজার ছাড়াও নগরীর ধাপ সিটি বাজার, কামাল কাছনা বাজার, মুলাটোল বাজার, কামারপাড়া বাজারসহ ছোট-বড় বাজারে  শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। এসব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে। তবে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি শিমের দাম ১২০-১৪০, বাঁধাকপি ৫০-৬০ ও মুলার দাম ৪০-৪৫ টাকা।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –