• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি- তিস্তা মহাপরিকল্পনা সরকারের 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২১  

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ধরলাার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

পানি বাড়ার সাথে সাথে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা পাড়ের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, বন্যার পানিতে পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে রোপা আমন ক্ষেতও। গ্রামের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের দুর্ভোগ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মন্জুরুল হক জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে কিছু ফসল রক্ষা পাবে। আর দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতি একটু বেশি হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরলা ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও আরও দুইদিন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –