• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নাগেশ্বরীতে সরিষা ফুলের হলুদে ছেয়ে গেছে বিস্তৃত মাঠ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৩  

নাগেশ্বরীতে সরিষা ফুলের হলুদে ছেয়ে গেছে বিস্তৃত মাঠ                   
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সরিষা ফুলের হলুদে ছেয়ে গেছে দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। ফুলে ফুলে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে মৌমাছি, প্রজাপতি ও ফুলপ্রেমী পতঙ্গ। প্রকৃতির এ মন ভুলানো রূপ মন কেড়েছে মানুষের।

ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, শংকোষ, দুধকুমর ও ফুলকুমর নদী এলাকার ৪১৫.৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নাগেশ্বরী উপজেলায় রয়েছে শতাধিক ছোট-বড় চরাঞ্চল। প্রতিবছর বন্যায় পলি জমে এর বেশকিছু জমি এখন আবাদযোগ্য। অন্যান্যগুলোতেও পরীক্ষামূলক চাষাবাদ হচ্ছে। কম পরিশ্রম ও খরচে ফসল ঘরে তোলা যায় বলেই প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও প্রথম থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত আবাদযোগ্য চরাঞ্চলের এক ফসলি ওই জমিতে কৃষক বপন করেছে সরিষার বীজ। অনেকেই তাদের দুই ফসলি জমিতেও আমন ধান তোলার পর মধ্যবর্তী সরিষার চাষাবাদ করেছেন। ফলে উপজেলার সর্বত্রই কমবেশি দেখা মিলছে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতের।

সরেজমিন গেলে চোখে পড়বে, ব্রহ্মপুত্র নদিবেষ্টিত চরাঞ্চলীয় ইউনিয়ন নারায়ণপুরের চৌদ্দঘুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনেই রয়েছে তিন শতাধিক মৌচাক। আশেপাশের গাছপালা ও বিভিন্ন বাড়ির ঘরের কার্নিশে রয়েছে আরো তিন শতাধিক মৌচাক।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এবারে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার বীজ বপন করেছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, চরাঞ্চলীয় জমি ছাড়াও অনেক কৃষক আমন ধান সংগ্রহ করার পর জমি ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করেছেন।

কৃষকরা জানান, আমরা পূর্ব পুরুষ থেকে খাওয়া, রান্না, গায়ে মাখার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করে আসছি। প্রতিবছর এর যোগান দিতে আমরা কিছু জমিতে সরিষার চাষ করি। বাজারে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার এর বাইরেও আমরা কিছু কিছু জমিতে আমন তুলে মধ্যবর্তী সরিষার চাষ করেছি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –