• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রৌমারী-চিলমারী নৌরুট, দুই মাস ধরে বন্ধ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৪  

রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। বাধ্য হয়েই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পারাপার করতে হচ্ছে এই রুটের যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের। এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলও পার করতে হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে দুই মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী ফেরিঘাট সড়কের একটি পুরাতন সেতুর পাটাতন ধসে গেছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এই পথে চলাচল করছে না ভারী কোনো যানবাহন। মূলত এ কারণেই গত দুই মাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল। 

রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে চলাচলকারী ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২ মাস ধরে রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তারা মালামাল পারাপার করতে পারছেন না। ফলে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। যত দ্রুত সম্ভব রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে ফেরি চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এসব ব্যবসায়ী।

কথা হয় সুজাউল ইসলাম, মাসুদ রানা, মৃদুল হক, আরিফুল ইসলাম ও আনিছুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। এ সময় তারা বলেন, রৌমারী-চিলমারী নৌ-রুটে ফেরিতে ভাড়া দিতে হয় মোটরসাইকেলসহ ৫০ টাকা। আর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রী প্রতি ১০০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের জন্য আরও ১০০ টাকা। শুধু তাই নয়, মোটরসাইকেল নৌকায় উঠানো-নামানোর জন্য কুলিকে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২০ টাকা। সবমিলিয়ে একজন মোটরসাইকেল চালককে খরচ করতে হচ্ছে ৩২০ টাকা। এভাবে একদিকে যেমন নদী পারাপারে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঝুঁকিসহ অন্যান্য দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির রৌমারী-চিলমারী ফেরি সার্ভিসের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, রৌমারী ফেরিঘাট সড়কের একটি সেতু ধসে গেছে। এ কারণে চলাচল করছে না ভারী কোনো যানবাহন। আর ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। 

বিআইডব্লিউটিসির রৌমারী-চিলমারী ফেরি সার্ভিসের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান আরও বলেন, স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা। সড়কে ভারী যান চালু হওয়ামাত্রই রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় রৌমারী উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ইমন চৌধুরীর সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, সড়কের যে স্থানে সেতু ধসে গেছে সেখানে বিকল্প সড়কের (ডাইভারশন) কাজ চলছে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। কাজ শেষে এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে। 

 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –