খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যে লিপ্ত বিএনপি 

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সৃষ্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি।

জানা গেছে, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দাতা থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি থাকলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আন্দোলন নিয়ে ‘আন্তরিকতা’ দেখায়নি দলটির নেতাকর্মীরা। উপরন্তু তার জ্যেষ্ঠপুত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় নেত্রীকে মুক্ত করার নামে চালানো হয়েছে চাঁদাবাজির মহড়া। এবং সেই টাকা ভাগ করে নেয়া হয়েছে নিজেদের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়। দলের পক্ষ থেকে লোক দেখানো সভা-সমাবেশ ডেকে সেখানে চলেছে রোদ পোহানোসহ গল্প-গুজব আর সেলফিবাজি। আর সভা-সমাবেশের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব বলয়কে পোক্ত করেছেন লন্ডনে পলাতক ফেরারি আসামি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পছন্দের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে বসেই তিনি শুরু করেছেন ‘দ্বিতীয় হাওয়া ভবন’ এর যাত্রা। বিষয়টি যাতে গোপন থাকে সেজন্য তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘গুজব সেল’ এর সাহায্যে পেইড এজেন্টদের দিয়ে সরকারবিরোধী মিথ্যাচার শুরু করেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, তারা নিজেরাই ‘অনৈক্য রোগে’ ভুগছেন। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে বিরামহীনভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে আইনজীবীদের গাফিলতি লক্ষ্য করা যায়। তারা এ দীর্ঘ সময়ে দলের নেত্রীর জন্য কিছুই করেননি। বরং তারেক রহমানের কথামতো মিডিয়ার সামনে তারা মায়াকান্না করেছেন।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ঘরে বসে শুধু বুলি আওড়াচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অন্ধের মতো দোষারোপ করা ছাড়া বিএনপির নেতাদের আর কোনো কাজ নেই। কিন্তু জনগণ বোকা নয়। তারা জানে, প্রকৃত দোষী কারা। জনগণ দেখেছে যে, রাজপথে বেগম জিয়ার জন্য দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি ছিল না বিএনপির। তাই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর আন্দোলন স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের পন্থা ছাড়া আর কিছুই নয়।