• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আত্মজার যে মিলগুলো শক্তি জোগায়

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২১  

মো. জাকির হোসেন

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নৃশংস মিশনে সর্বশেষ শিকার ছিলেন শিশু রাসেল। রাসেলকে হত্যা করার পর খুনিদের একজন দম্ভভরে বলেছিল ‘অল আর ফিনিশড’। খুনি বোঝাতে চেয়েছিল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু অধ্যায় সমাপ্ত। আরো নিশ্চিত হতে ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত ও অনুগত চার জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন, তাঁদেরও কারাগারের নিরাপদ স্থানে হত্যা করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসবেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন হবেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল পরিচিত পাবে, জাতীয় সংসদে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল হবে, দেশের প্রচলিত আইনে সাধারণ আদালতে বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যার বিচার হবে ঘাতকচক্র কি স্বপ্নেও ভেবেছিল? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে এই ঘটনা শুধু স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্যই অবিশ্বাস্য ছিল না, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও সন্দিহান ছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম। বাংলাদেশকে এখন অন্যদের জন্য অনুসরণ নয়, অনুকরণের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একসময় যেসব দেশ বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ দিত তারাই এখন প্রশংসাবানে ভাসিয়ে ফেলছে। বলছে, এই বাংলাদেশ আর সেই আগের বাংলাদেশ নয়। গত এক যুগে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বদলে গেছে এর সব কিছুই। তবে অর্জনের সূচনাটা ছিল ভয়ংকর চ্যালেঞ্জের। চারদিকে প্রতিকূলতা। অর্থনীতির ভগ্নদশার পাশাপাশি ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশবিরোধী শক্তির অহর্নিশি ষড়যন্ত্র। শ্বাপদসংকুল পরিবেশে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বিচক্ষণতার সঙ্গে এগোতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন শাসকদের আশকারা ও মদদে পাকিস্তান অক্টোপাসের মতো বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের রাহুমুক্ত না করলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়া দূরের কথা, জঙ্গিবাদ আর ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে পাকিস্তানের মতো দুর্বল ও প্রায় ধসে পড়া রাষ্ট্রে পরিণত হতো। কিভাবে সম্ভব হলো এমন অসম্ভব? বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আত্মজার নেতৃত্ব, চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, ত্যাগ, দূরদর্শিতা, মেধা, সততা, সাহসিকতা, অতল দেশপ্রেম, বিস্ময়কর প্রাণশক্তি আর শাসনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এর কারণ শুধু আত্মজা হিসেবে নয়, রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী হিসেবেও কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন পিতা শেখ মুজিবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। পিতার রাজনৈতিক সঙ্গী হওয়া ছাড়াও এই মিলের পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। কন্যাদের মায়ের চেয়ে বাবার প্রতি বেশি দুর্বলতা থাকে। একাধিক গবেষণা বলছে, পিতারা সাধারণত কন্যাদের রোল মডেল হয়ে থাকে। আরেক গবেষণা বলছে, কন্যার জীবনে মায়ের চেয়ে বাবার প্রভাব বেশি থাকে। আর কন্যা যদি বাবার জিন বহন করে, তবে বাবার অনেক বৈশিষ্ট্য কন্যার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। আমি দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করছি, যা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ও কয়েক দশকের ব্যবধানে ঘটেছে। অথচ চিন্তায়-পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু ও কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যে কতটা মিল দেখুন। সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা মনোয়ারুল ইসলাম এক প্রবন্ধে লিখেছেন, “বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু বললেন, এই ঘোড়ার ওপর বাজি ধরে বহু পরিবার ফতুর হয়ে গেছে। এটি আর চলবে না। তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে বললেন, ‘রেসিং ট্রেকের ওপর সারিবদ্ধভাবে নারকেলগাছ লাগাও।’”

বঙ্গবন্ধু বাঙালির প্রতি অতল ভালোবাসায় ও বাঙালির সবটুকু কল্যাণের নিমিত্তে একবারের জন্য পাওয়া জীবনের সব ব্যক্তিগত সাধ-আহ্লাদকে দুপায়ে দলে কারাগারকে ঠিকানা করেছেন, পরিবারের সুখ-স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়েছেন। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন—সবই হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন বিশ্বমানচিত্রে বাঙালির একটি স্থায়ী নিবাস গড়তে। ফাঁসির রজ্জু মাথার ওপর ঝুলেছে, বুলেট তাড়া করেছে। কিন্তু কোনো কিছুই বাংলা ও বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অদম্য ভালোবাসার পথে বাধা হতে পারেনি। বাংলাদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর সেই অদম্য ভালোবাসার সবটুকু নির্যাস তাঁর কন্যার হৃদয়জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আকাশভাঙা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছয় বছর পর সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্য স্বদেশে ফিরেছিলেন, সেদিন আসলে বাংলাদেশ ফিরে এসেছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁকে স্বাগত জানাতে লাখ লাখ বাঙালি ঢাকা বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল। স্বদেশবাসীর আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। কান্নাভেজা কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি নেতা নই। সাধারণ মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার একজন কর্মী। বাংলার দুঃখী মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে এই সংগ্রামে পিতার মতো আমিও জীবনদান করতে প্রস্তুত।’

পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুকে এক ভয়ানক অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে—এ কথা জানানোর পরও নিজের জীবনের কথা না ভেবে বাংলাদেশের কল্যাণে নিজের সবটুকু শক্তি নিয়োগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তখন ১৫ই আগস্টের ঘাতকচক্র ক্ষমতাসীন। নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস। একাত্তরের পরাজয়কে পঁচাত্তরে বিজয়ে পরিণত করে ঘাতকচক্র মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে সম্পূর্ণ অপসৃত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধে দায়মুক্তি আইন জারি করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী চার জাতীয় নেতাকে কারাগারের মধ্যে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শুধু মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকেই বিচ্যুত হয়নি, অগ্রগতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থেকেও ছিটকে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পাশাপাশি শুরু হয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের। উত্থান ঘটে স্বাধীনতাবিরোধীদের। নির্বাসনে পাঠানো হয় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত আদর্শের রাজনীতিকে। শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের রাজনীতি। পাকিস্তানি তাহজিব-তমদ্দুন দ্বারা পরিচালিত হতে শুরু করে বাংলাদেশ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট এ দেশের মানুষ শুধু বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হারাননি, সঙ্গে হারিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে। দেশে আসার পর বঙ্গবন্ধুকন্যার সামনে যে কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার পায় তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পুনরুদ্ধার, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং টুঙ্গিপাড়ায় শেষ শয়ানে শায়িত পিতা শেখ মুজিবের সোনার বাংলার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা অন্যতম। খুবই দুরূহ ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কাজগুলো। ১৫ই আগস্ট ও ৩ নভেম্বর যাঁরা চরম বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছিলেন, তাঁরা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরিস্থিতি এমন অদ্ভুত ছিল যে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা অপরাধী আর খুনিরা সূর্যসন্তান। পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা একের পর এক ক্ষমতাসীন শাসকের পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুকূল্য দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছে। যারা স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে নির্বংশ করতে চেয়েছিল সেই খুনিরা দম্ভভরে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার ঘোষণা দিয়েছে। খুনিরা তৎপর বেঁচে থাকা দুই কন্যাকে হত্যা করতে। এমনই একটি ভয়ংকর পরিবেশে সংগ্রাম শুরু করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি অনুধাবন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পেতে হলে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত এই দেশে প্রায় বিস্মৃত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হলে মুমূর্ষু জাতিকে সজীব করে তুলতে হবে। প্রায় ভুলতে বসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। একটি জাতিকে কিভাবে জাগিয়ে তুলতে হয় পিতার কাছ থেকে পাওয়া সেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে বাঙালি জাতিকে বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার করে তোলেন। এই কাজ ছিল বড়ই বিপত্সংকুল। শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রাণসংশয় নয়, আওয়ামী লীগ সরকার ও রাজনীতির জন্যও ছিল এটি ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণ। সব শঙ্কা-সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে বিচারিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মূল অপরাধীদের বিচার শেষে দণ্ডও কার্যকর হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববন্ধু হয়েছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যার বিস্ময়কর নেতৃত্ব তাঁকে বৈশ্বিক নেতৃত্বের কাতারে ঠাঁই করে দিয়েছে। বৈশ্বিক রাজনীতির আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস’ ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে অনুসন্ধান করে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের তৃতীয় সৎ ও পরিচ্ছন্ন সরকারপ্রধান এবং বিশ্বের চতুর্থ কর্মঠ সরকারপ্রধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘দ্য স্ট্যাটিস্টিকস ইন্টারন্যাশনাল’ তাদের এক জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেছে নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে দক্ষ নেতৃত্ব, রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি, মানবিকতা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়নসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকা। শেখ হাসিনা অন্ততপক্ষে ৩২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। এসব পুরস্কার ও পদকের মধ্যে এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ও পদক রয়েছে, যা জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও জাতিসংঘের সাবেক মহাচিব বান কি মুন পেয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু মহীরুহের মতো ছায়া মেলে ছিলেন দুর্বল আর দরিদ্রের মাথার ওপর। বঙ্গবন্ধুকন্যাও হৃিপণ্ডের সবটুকু মমতা নিয়ে দুর্বল আর দরিদ্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছায়া হয়ে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন, জীবিকার সংস্থান করছেন, প্রয়োজনে নগদ অর্থ দিচ্ছেন—সর্বোপরি গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করার ওপর জোর দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশ, আর কন্যা গড়ছেন সোনার বাংলাদেশ।

লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –