• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪  

নামাজ (ফারসি: نماز‎‎) বা সালাত (আরবি: صلاة‎‎) ইসলাম ধর্মের ৫টি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ।

উল্লেখ্য, ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামাজ।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০টি উপকার ও ফজিলতের বর্ণনা করা হলো। এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতের প্রতি গাফেলতি, অলসতা আসবে না। ইনশাআল্লাহ!

(১) ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর! (বুখারি হাদিস: ৬৫৭, ৬৪৪, ২৪২০, ৭২২৪; মুসলিম হাদিস ৬৬১)

(২) রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐদিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির দায়িত্ব নেন। (সহিহ মুসলিম, তিরমিজি ২১৮৪)

(৩) রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দেবে’। (বুখারি, মুসলিম)

(৪) রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সঙ্গে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন’। (সহিহ মুসলিম: ১০৯৬)

(৫) রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন’। (আবু দাউদ: ৪৯৪)

(৬) যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন। অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্ণিমার রাতের আকাশের চাঁদের মতোই স্পষ্ট দেখবে’। (বুখারি: ৫৭৩)

(৭) যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে, সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। (সহিহ মুসলিম: ৬৩৪)

(৮) ফজরের সালাত আদায়কারী, রাসূল (সা.) এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন। (সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

(৯) ফজরের দুরাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম। (জামে তিরমিজি: ৪১৬)

(১০) ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে, প্রফুল্ল হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে উপরোক্ত সব নেয়ামত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –