• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আজও ঘণ্টার শব্দ শুনে ইফতার করে যে গ্রামের মানুষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১  

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান পাড়া। এ গ্রামে আজও ইফতারের সময় হলে লোহার ঘণ্টা বাজানো হয়। এই ঘণ্টার শব্দ শুনেই ইফতার করে এখানকার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের মতো এ গ্রামের মসজিদগুলোতেও মাগরিবের আজান হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান পাড়ায় ঘণ্টা বাজিয়ে ইফতার করা একটি পুরোনো ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে এখানকার বাসিন্দারা। এখনো প্রতিবছর রমজান মাসে ইফতারের সময় ঘণ্টা বাজানো হয় এ গ্রামে।

আরো জানা গেছে, ঘণ্টা হিসেবে একটি লোহার পাত ব্যবহার করা হয়। যেটির বয়স ৫০ বছরেরও বেশি। এই লোহার পাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে এর আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আওয়াজ শুনেই ইফতার করে এখানকার কয়েক হাজার মানুষ। ঘণ্টাটি স্থানীয় মক্তবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার কাজেও ব্যবহার হয়।

স্থানীয় প্রবীণরা জানান, এক সময় কুড়িগ্রামের গ্রামের মসজিদগুলোতে মাইক ছিল না। তখন রমজান এলেই সেহরি ও ইফতারের সময় জানান দেয়ার জন্য পটকার বিস্ফোরণ ও লোহার ঘণ্টা বাজানো হতো। ইফতার ও সেহরির নির্ধারিত সময় হলেই ১০ গ্রামের মানুষকে জানান দেয়ার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করা হতো। যুগের পরিবর্তনে বর্তমানে মসজিদগুলোতে মাইকের ব্যবহার শুরু হলে পটকা ও লোহার ঘণ্টা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। সর্বত্র মাইকের ব্যবহার শুরু হলেও চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দারা এখনো সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। চেয়ারম্যান পাড়ার পানিমাছকুটি, বিদ্যাবাগীশ ও কুটিচন্দ্রখানা গ্রামে এখনো লোহার ঘণ্টা বাজিয়ে সেহরি ও ইফতারের সময় জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবক সংগ্রামী মোহন উচ্ছ্বাস বলেন, লোহার ঘণ্টা বাজিয়ে ইফতারের সময় জানিয়ে দেয়ার ঘটনাটি আশ্চর্যজনক। আমি আমার দাদাবাড়ি চেয়ারম্যান পাড়ায় এটি দেখে অবাক হয়েছি। এখানকার মানুষ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ইফতারের সময় ঘণ্টা বাজানোর বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। আমি নিজেও ইফতারের সময় ঘণ্টাটি বাজিয়েছিলাম।

স্থানীয় গৃহবধূ মোক্তারা বেগম বলেন, আমরা ঘণ্টার শব্দ শোনার পরই ইফতার করে থাকি। এখানে বেলের আওয়াজ ও আযান একই সময়ে হয়। এতে সঠিক সময়ে ইফতার করার সুযোগ পাওয়া যায়।

ইমা নামে এক বৃদ্ধা বলেন, আমার বাড়ি একটু দূরে হলেও ঘণ্টার আওয়াজ পৌঁছায়। বহু বছর ধরে আমরা ঘণ্টার শব্দ শুনেই সেহরি-ইফতার করছি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –