কুড়িগ্রামে একই গাছে বড় হচ্ছে পরিপক্ক আম ও আমের মুকুল
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১
প্রকৃতির অপরূপ খেয়াল একই আম গাছে বড় হচ্ছে আম। আবার একই সঙ্গে বের হচ্ছে আমের নতুন সদ্য মুকুল। এসব আম দেখে অনেকে নিজ বাড়ির আঁঙ্গিনায় এই আম রোপণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
প্রকৃতির এই বাস্তব ঘটনাটি দেখা গেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার শেষ সীমানাবর্তী স্থান ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের উত্তর নগরাজপুর গ্রামে।
এক আমের গাছে পূর্ণাঙ্গ পরিপক্ক আম ও সঙ্গে আমের মুকুল বের হওয়ার দৃশ্যটি অনেককে অবাক করেছে। এ গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতেও এমন আম গাছের দেখা মিলেছে। এছাড়াও একই উপজেলার বড়ভিটা ইউপির পূর্ব-ধনিরাম গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক গোলাম রসূলের বাড়িতেও এমন আম গাছ দেখা গেছে।
তবে বৃক্ষপ্রেমী মরহুম কাশেম আলীর বাড়িতে ছুটে আসছেন অনেকে। অন্যান্যদের তুলনায় বৃক্ষপ্রেমী ছাবেদ আলীর আম গাছটিতে ফলন ভালো হওয়ায় কেউ কেউ আম-মুকুলের ছবি করছেন ক্যামেরাবন্দী। একই ডালে পূর্নাঙ্গ আম ও মুকুল আসার ঘটনাটিতে অনেকে বলছেন এটি বারোমাসিয়া আমের জাত। তাই এমনটি হচ্ছে।
জানা গেছে, উত্তর নগরাজপুর গ্রামের শিক্ষিত অভিজ্ঞ মরহুম ছাবেদ আলী তার বাড়িতে ফলের চাহিদা মেটানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন উন্নত জাতের ফল-ফলাদি রোপণ করেন। গত প্রায় বছর চারেক আগে তিনি একটি আমের চারা বাড়ির আঁঙ্গিনায় রোপণ করেন। এই আমের চারাটি বেশ বড় হতে থাকে। দুই বছর পর আমের মুকুল আসা মৌসূমে অন্যান্য দেশীয় আমের গাছের সঙ্গে এই আম গাছটিতে মুকুল আসে। পরবর্তীতে গাছটির আম স্বাভাবিক ভাবে বড় ও পরিপক্ক থাকে। একদিকে আম পরিপক্ক হচ্ছে অন্যদিকে আমের একই ডালে আবার মুকুল আসা শুরু হয়।
ছাবেদ আলীসহ তার পরিবারের লোকজন অবাক হন। তারা ওই গাছ খেকে পরিপক্ক আমগুলো ছিঁড়ে খান ও অপেক্ষা করেন মুকুল আসা আমের দিকে। এখানে দেখেন ওই আমের মুকুল থেকে তিন মাস পর আবার পরিপক্ক আম হয়েছে। এভাবে বারোমাসেই আমের মুকুল আসছে আর আম হচ্ছে।
ছাবেদ আলীর ছেলে ঢাকায় কর্মরত আব্দুল আজিজ সরকার মিজান বলেন, আমার বাবা একজন বৃক্ষপ্রেমি ছিলেন। উনি আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সব সময় উন্নত জাতের ফল-ফলাদি চাষ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত চার বছর আগে বাড়ির আঁঙ্গিনায় উন্নত জাতের একটি আমের চারা রোপণ করেন। দুই বছর পর স্বাভাবিক ভাবেই আমের গাছটিতে মুকুল আসে। আমও বড় হয়। আম পাকার প্রাক্কালে আমরা দেখতে পাই গাছটিতে আবার পূর্বের মতো আমের মুকুল ধরতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, আমরা ওই গাছের পাকা আম খেয়ে বুঝতে পারি আমটি অনেক সু-স্বাদু। এরপর থেকে আমরা পরিবারের লোকজন বারোমাসেই ওই আমের গাছ থেকে আম খাচ্ছি। গাছটি থেকে ৩০ থেকে ৫০ টি করে আম উৎপাদন হচ্ছে। বছরের প্রতি তিন মাস পরপর আমরা আম খাচ্ছি। যা একটি অসাধারন ব্যাপার।
ওই পরিবারের গৃহবধূ নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আমার শ্বশুর আমাদের জন্য অনেক কিছু রেখে গেছেন। তিনি একজন বৃক্ষপ্রেমিক ছিলেন। উন্নত জাতের এই আম গাছটির আম খেয়ে এখন বারোমাসেই আমের চাহিদা মিটাতে পাচ্ছি।
গৃহবধূ মোস্তারী বেগম জানান, ছাবেদ আলী আমাদের আত্মীয়। ঈদে তার বাড়িতে এসে একই গাছে পরিপূর্ণ আম ও নতুন আমের মুকুল দেখে অভিভূত হয়েছি। এটি আমাদেরকে প্রেরণা যুগিয়েছে। আমরা আমাদের পরিবারে এই জাতের আম গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা করছি।
অপর আম গাছ মালিক গোলাম রসূলের স্ত্রী গৃহবধূ এছপা বেগম জানান, আমার স্বামী উন্নত জাতের আম হিসেবে একটি আমের চারা কিনে এনে রোপণ করেন। এই আম গাছ থেকে এখন প্রতি তিন মাস পরপর আম খেতে পাচ্ছি। আম গুলো সু-স্বাদু হওয়ায় আমাদের খুব ভালো লাগে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদফতর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, কুড়িগ্রামের যেসব স্থানে একই গাছে আম ও ফুল দেখা যাচ্ছে। এসব আম বারোমাসে উৎপাদন হয় এমন কোনো জাতের আম হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বারো মাসে উৎপাদন হয় এমন অনেক জাতের আম আছে। এরমধ্যে বারিয়ান জাতের আমটি উন্নত ফলনশীলদের মধ্যে অন্যতম।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত
- কুড়িগ্রামে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো: প্রতিমন্ত্রী
- টেলিস্কোপ তৈরি করলো রাজারহাটের ফারাবী
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্মদিন আজ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন
- ২২তম তারাবিতে যা পড়া হবে
- নাগেশ্বরীতে ৬ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- ফুলবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট সেন্টারের উদ্ভোধন
- থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শন
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন