• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সৈয়দপুরে রসুন ক্ষেতে পঁচন, দিশেহারা কৃষক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলতি রবি মৌসুমে আবাদ করা রসুন ক্ষেতে পঁচনসহ গাছের গোড়ায় কৃমি পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসায় কৃষি বিভাগের সহায়তা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেনে উপজেলার রসুন চাষিরা। তারা নিজ উদ্যোগে সার ও কীটনাশক কিনে ব্যবহার করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।

ফলে লোকসানের আশঙ্কায় কৃষকদের মাথায় হাত। উপয়ান্তর না দেখে অনেকে অপরিপক্ক অবস্থাতেই রসুন তুলে ফেলছেন।

উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ২৫ শতক জমিতে রসুনের আবাদ করেছি। কিছু দিন থেকে রসুন ক্ষেতে গাছের আগায় পঁচন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গোড়ায় কৃমি পোকার আক্রমন ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে পরামর্শের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার খোঁজ করেও না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় কীটনাশকের দোকানদারদের পরামর্শে তাদের থেকে ওষুধ কিনে ব্যবহার করেছি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল আবাদ করি। কিন্তু কখনই কৃষি বিভাগের দায়িত্বরত বিএসদের সহযোগিতা পাইনা। তারা কখনই আমাদের খোঁজ খবর নেন না। শুধু নামেই জানি যে আমাদের এলাকায় বিএস হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মোস্তাকিম রহমান নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু কোন দিনই তার দেখা পাইনি। তাই আবাদের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের কোনরকম পরামর্শ বা সহায়তা আমরা পাচ্ছিনা। এখন রসুন ক্ষেতে পঁচন ও কৃমির আক্রমনে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ওষুধ ব্যবহার করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। গতবারও একই জমিতে রসুন আবাদ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এবার তাও হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি।’

একইভাবে অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও রসুন চাষিরা কৃষি বিভাগের সহায়তা না পাওয়াসহ ফসল রোগাক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মোত্তর গ্রামের মনোয়ার হোসেনও ৫৫ শতক জমিতে রসুনের আবাদ করে একই রকম সমস্যায় পড়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএসদের দেখা না পাওয়ায় এ সমস্যা সমাধানের কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। তবে স্থানীয়ভাবে সারের দোকান থেকে ওষুধ কিনে ব্যবহার করেছি।’

তারা এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তবে কামারপুকুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেবের তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি সত্য নয়। আমি আমার এলাকায় ঘুরে ঘুরে কৃষকদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। তিনি যে আমাকে পান না এটা তার মনগড়া কথা।’

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, ‘কৃষকরা সাংবাদিকদের জানাতে পারে অথচ আমার কাছে কেন আসেনা? আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের অ্যারিয়ায় যথাযথভাবে কাজ করছেন। তারপরও যদি কারও বিরুদ্ধে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –