• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঐতিহ্য হারাচ্ছে কাঠের খেলনা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪  

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কাঠের তৈরি খেলনা। এতে যেমন ঐতিহ্য হারাচ্ছে এ শিল্প, তেমনি খেলনা বানানো এ পেশা থেকে অন্য পেশায় যাচ্ছেন কারিগররা। বিক্রি আর চাহিদা কম থাকায় কোনোমতে পেট চলে এ কারিগরদের। যেকোনো মেলা পহেলা বৈশাখ বা পূজা-ঈদে কিছুটা চাহিদা বাড়ে এসব কাঠের খেলনার। এছাড়া প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার ভিড়ে যেন পূর্ণতা পায় না কোনো দোকানে। এসব কাঠের খেলনা তৈরি হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাঙালিপুরে দুই একটি কারখানা।  

সরেজমিনে জানা যায়, একসময় সৈয়দপুরের অর্ধশতাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন এ পেশায়। স্থানীয় ভাষায় ট্রাক, বাঁশের বাঁশি, কেরকেরি গাড়ি, ঢোল গাড়িসহ নানা খেলনা তৈরি হতো এখানে। পহেলা বৈশাখ বা পূজা-পার্বণে চাহিদা বাড়তো কাঠের খেলনার। এসব ছাড়া যেন পূর্ণতা পেতো না কোনো মেলাই। গ্রামবাংলার খেলাধুলার একটি ঐতিহ্য ছিল এসব কাঠের খেলনা।

খেলনা তৈরির কারিগর সেলিম উদ্দিন জানান, আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই পেশায় জড়িত ছিল।  ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমি এই পেশায় কাজ করছি। ঈদ-পূজা ছাড়া এসব খেলনা বিক্রি হয় না। এখন প্লাস্টিকের কারণে খেলনার চাহিদা খুবই কম। খেলনা তৈরি করে কোনোমতে আমাদের সংসার চলে। গ্রামবাংলার এসব খেলনা কেউ নিতে চায় না। আগে দিনে কমপক্ষে ১ হাজার খেলনা বিক্রি হতো। এখন পুরো বছরজুড়ে ১৫ হাজার বিক্রি হয় না। আমাদের সরকারি ভাবে সহায়তা করলে আমরা এ পেশা টিকে রাখতে পারব ৷ 

সেলিম উদ্দিনের বউ নাসিমা বেগম বলেন, আমি বাড়ির কাজ করার পাশাপাশি এখানে এসে কাজ করি। আমার বিয়ে হয়েছে ২০ বছর আগে তখন থেকে এসব কাজ করি। আমাদের এখানে আগে বিক্রি খুব ছিল। এখন তেমন বিক্রি হয় না, যা বিক্রি হয় তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে।  

সহকারী প্রকৌশলী (বিসিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সৈয়দপুরের শিল্পনগরী কর্মকর্তা) মশিউর রহমান বলেন, একসময়ের ঐতিহ্য এখন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এ-ই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে মাত্র কয়েকটি কারখানা রয়েছে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আমাদের অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –