• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২  

পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী                     
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে শুধু রূপকল্প পরিকল্পনা নয়, একশ বছরের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা প্রযুক্তি নির্ভর এবং যুগোপযোগী। সেই ডেল্টা পরিকল্পনায় প্রকৌশলীদের জ্ঞানের শতভাগ ব্যবহার করা হয়েছে। অষ্টম পরিকল্পনায় সকল খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত দেশ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের যে সাফল্য হয়েছে তা প্রশংসনীয়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর এক সেমিনার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডেল্টা প্ল্যানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ (আইইবি) অংশীদার ছিল। আমরা চেষ্টা করছি পেপারলেস অফিস কার্যক্রম। উই হেভ এ ড্রিম, ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।

পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডির সমালোচনার কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেনা প্রিয় ভট্টাচার্যরা সমালোচনা করেই যাচ্ছেন। ভয় দেখাচ্ছেন। নানান পরিসংখ্যান দেখাচ্ছেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শঙ্কিত অর্থনীতিবিদদের কথা শুনেন না, তিনি শঙ্কিত অর্থনীতিবিদদের কথা শুনলে পদ্মা সেতু হতো না। ষষ্ঠ-পঞ্চম পরিকল্পনা থেকেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং খাতকে গুরুত্ব দিয়েছি।

এদেশের শিক্ষা খাতের আরও উন্নয়ন প্রয়োজনের কথা ইঙ্গিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনো শ্রীলঙ্কা, ভারতের বিশেষজ্ঞরা আমাদের দেশে কাজ করছেন। বিশ্বের ২৫০টা দেশের মধ্যে আমাদের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। অথচ দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েই চলচ্ছে। আমরা দেশেই বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে পারছি না। এর জন্য শুধু সরকারি প্রচেষ্টা থাকলেই সম্ভব না, সবাই এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা অবান্তর। শ্রীলঙ্কাকে ইঙ্গিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্বেতহস্তীর পরিকল্পনা আমরা নেইনি। রাষ্ট্র ঋণ নেয়, রাষ্ট্রই ঋণ প্রদান করেন। ব্যক্তি কখনো ঋণ পরিশোধ করে না। আমরা ঋণ আরও নিবো। ঋণ নেয়া তো ব্যবসা করার মতোই। আমরা হিসাব করেই ঋণ নেই। বাংলাদেশ হিসাব করতে দক্ষ। সরকারি প্রতিষ্ঠান লাভের জন্য করা হয় না, করা হয় সেবার জন্য। ক্ষতি দেখে তো সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া যাবে না।

বিরোধীদলের আন্দোলনের কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে ভয় পাই না তবে সাময়িক যে সমস্যা তৈরি হবে তা ভাবিয়ে তোলবে। 

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন,বাংলাদেশ (আইইবি) এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সম্মানী সাধারণ সম্পাদক আইইবি প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।

আইইবির কম্পিউটারকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী সঞ্জয় কুমার নাথ এর সঞ্চালনায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবির কম্পিউটারকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী  মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদ।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –