• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দেশের সব ভালো কাজ শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে যত ভালো কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে। পদ্মাসেতুর মতো অনেক মেগা স্ট্র্যাকচার হচ্ছে। 

তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলার ৪১টি স্প্যান বহন করছে। আর বাংলাদেশ একটি পিলার, যিনি বাংলাদেশের ভার বহন করে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেই পিলারটি হলো আমাদের ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড আর্লি অ্যাকশন ফর অল’ যার ভাবানুবাদ করা হয়েছে ‘দুর্যোগে আগাম সতর্কবার্তা, সবার জন্য কার্যব্যবস্থা’।

দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে অনেক সফলতা রয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, আমরা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, মুজিব কেল্লা করেছি। গত কয়েক বছরে আমরা ২২০টি নতুন করে সাইক্লোন শেল্টার, ৪২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ৫৫০টি মুজিব কেল্লা আমরা করেছি। ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম করেছি।

তিনি বলেন, সিলেটের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি আমাকে নৌযান কেনার নির্দেশ দেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের নৌযানের স্বল্পতা আছে। তিনি উল্লেখ করে দেন জাপানের তৈরি জেমিনি বোট কিনতে হবে। আমরা এরই মধ্যে ৫০টি জেমিনি বোট কেনার জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করেছি। প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শিগগিরই এ বোটগুলো এলে আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়বে।

‘আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি ভলেন্টিয়ারদের সক্ষমতা বাড়াতে যন্ত্রপাতি কিনতে প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ছি। এ টাকা দিয়ে ১১টি লেডার কেনার কার্যাদেশ আমরা দিয়েছি। সিপিপি জন্য ৩০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার কার্যাদেশ আমরা দিয়েছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা প্ল্যান কার্যকর হলে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র হবে। যার ফলে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত ২ বছরে ৩৩৩ নম্বরে ২২ লাখ পরিবার সাড়া দিয়েছে এবং খাদ্য সহায়তা পেয়েছে বলেও জানান এনামুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮৩ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মেডেল ও সনদ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুজন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া অনুষ্ঠান থেকে ৫০টি মুজিব কেল্লা, ৮০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৩টি জেলা ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হক উপস্থিত ছিলেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –