• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজ বিশ্ব মান দিবস

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২  

আজ (শুক্রবার) ৫৩তম ‘বিশ্ব মান দিবস’। পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

মূলত পণ্য-সেবার মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার প্রতি কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই দিবসটি পালন করা হয়।

১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী পণ্য-সেবার মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নির্ধারক সংস্থার বিষয়ে ঐকমত্য পোষন করেন যা পরের বছর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ঐদিনকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ দিবস বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়। 

১৯৭০ সাল থেকে আইএসও এই দিবসটি পালন করে আসছে। প্রত্যেক বছরই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় চলমান বিষয়াদিকে ঘিরে নির্ধারণ করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে মান’। 

অনেক প্রতিষ্ঠান মানহীন খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে বাজারে ছাড়ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর নিয়মিত বাজার তদারকিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ও ভেজাল পণ্য তৈরি এবং ওজনে কারচুপিসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ছে। মানহীন খাদ্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কে থাকছেন ক্রেতারা। 

রাষ্ট্রায়ত্ত মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) পণ্যের মান নির্ধারণ ও নিশ্চিত করার কাজ করছে। তবে সংস্থাটির জনবল সংকট ও সক্ষমতার অভাবে চাহিদা অনুযায়ী সেবার পরিধি বাড়াতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে আজ ৫৩তম বিশ্ব মান দিবস উদযাপন করছে বাংলাদেশ।

মানুষের উদ্বেগ বেশি থাকলেও অনেক খাদ্যপণ্যে বিএসটিআইর নির্ধারিত মান নেই। বর্তমানে ১৮১টি পণ্যের মান নিশ্চিত করা বিএসটিআইর জন্য বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে মাত্র ৭৬টি খাদ্যপণ্য। বাকি খাদ্যপণ্যের মান নিশ্চিত করা বিএসটিআইর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে বাধ্যতামূলক পণ্যের বাইরে অন্য পণ্যের গুণগত মান সঠিক কিনা তাও যাচাই করে বিএসটিআই। 

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মান প্রণয়নে সবার সম্মিলিত উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর আইএসও কর্তৃক বিশ্ব মান দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইএসও সদস্যভূক্ত দেশ হিসেবে বিএসটিআইর উদ্যোগে বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন একীভূত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) প্রতিষ্ঠা করে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –