• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তীব্র স্রোতে ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গিদারি নদীর ব্রিজটি পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে। ফলে ভাঙা ব্রিজ দিয়ে এখন যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের ৬ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার ভোরে পানির তীব্র স্রোতে ব্রিজের নিচের মাটি সড়ে গিয়ে ধসে পড়ে। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে পাকিস্তান আমলে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর ওপর নির্মিত হয়েছিল এ ব্রিজটি। কথিত রয়েছে, প্রায় ৫৫ বছর আগে পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর ওপর গ্রামীণ এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। গত মার্চ মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গিদারি নদীর খনন কাজ শুরু করে। খনন কাজ এখনো চলমান রয়েছে। তবে খনন করায় নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, এ ব্রিজ দিয়ে চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া,জটিয়াপাড়াসহ ৬ গ্রামের দুদিকের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ২০ হাজারের মত মানুষ চলাচল করে থাকে। এসব মানুষ উলিপুর উপজেলা শহরসহ দুর্গাপুর, মিনাবাজার ও পান্ডুল ইউনিয়নে প্রতিদিন এ রাস্তায়  চলাচল করেন। 

স্থানীয়রা জানান, কাগজিপাড়া পানের বরজ থেকে পান গাড়িতে করে জেলার বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হতো। এ ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগের খুব অসুবিধা হয়ে গেল। আমরা আমাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে উলিপুর কিংবা কুড়িগ্রাম যেতে পারছি না। এ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান অনেকেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার আগে নির্মাণ করা এ ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে ধসে পড়ে গেল। এতে পান্ডুল ইউনিয়নের প্রায় ৬  গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাঘাত ঘটল। গত দুই সপ্তাহ আগে টানা প্রবল বর্ষণে পানি জমে তীব্র স্রোতের কারণে ব্রিজটির ভাটি ও উজানে পানির তোড়ে ব্রিজের নিচে মাটি সড়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ভেঙে পড়ে। তবে অস্থায়ী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরির পরিকল্পনা করা যেতে পারে বলে অনেকেই জানান। 

এ ব্যাপারে পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ জানান, দেশ স্বাধীনের আগে এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। আর সে সময় ব্রিজটি অনেক উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছিল। খাল খননের পর সেতুর মুখ উঁচুতে উঠে যায়। ফলে পানির তীব্র স্রোতে তা ভেঙে যায়।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি ব্রিজটি ভাঙার পর সেখানে গিয়েছি। এরপর উপজেলা প্রকৌশলীকে ব্রিজ পুনর্নির্মাণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে মানুষের অসুবিধের কথা বিবেচনা রেখে ব্রিজের পাশে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করার জন্য পিআইওকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে।   

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –