• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সেচের আওতায় নতুন ৭০ হাজার হেক্টর জমি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুরের ১২টি উপজেলায় ৭০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার হেক্টর বেশি। এতে অতিরিক্ত ৭০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ভূঞা। তিনি জানান, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার হেক্টর জমি। তবে সেচের আওতায় এসেছে অতিরিক্ত ১৭ হাজার হেক্টর। এতে ধানের উৎপাদন বাড়বে। কৃষকরাও লাভবান হবে।

সেচ সুবিধা পাওয়া গঞ্জিপুর এলাকার কৃষক রায় বাহাদুর বলেন, এ বছর ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ক্যানেলের পানি দিয়ে বোরো ধান চাষ করেছি। ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত পাম্প দিয়ে জমি সেচ দিতে একর প্রতি খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। কিন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ ক্যানেল থেকে জমি সেচ দিতে খরচ হয় মাত্র ৪৮০ টাকা। আমরা এতে সাশ্রয়ে ধান চাষ করতে পারছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল হাকিম জানান, ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদনে ৯৫ কোটি টাকার জ্বালানি এবং ১৪ কোটি টাকার সার কম ব্যবহার হবে। যা দেশের খাদ্য উৎপাদন ও জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।

এবার সেচের আওতার মধ্যে রয়েছে- রংপুর সদর, গংগাচড়া, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা। নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদর উপজেলা, দিনাজপুরের পাবর্তীপুর, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা।

সেচ ক্যানেল পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, নতুন করে সেচের আওতায় আসা জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ দেওয়া হবে। কৃষকদের যাতে সেচ পেতে অসুবিধা না হয় সেজন্য সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। এবার তাদের সেচ পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।

সেচ ক্যানেল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তাহের, উপ-সচিব (পশ্চিম রিজিয়ন) আতিকুর হমান, কৃষিবিদ অমলেশ চন্দ্র রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজ প্রমুখ।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –