• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কাদায় পাওয়া হ্যান্ড গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটালো র‌্যাব

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

সকালে পুকুরে পাওয়া গেল হ্যান্ড গ্রেনেড, দুপুরে সেই গ্রেনেডটি নিয়েই খেলা করে শিশুরা। ক্রিকেট বলের মতো যখন শিশুরা সেটি নিয়ে খেলছিল তখনই স্থানীয় একজন এটিকে বোমা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটায় র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। এর আগে বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, বিকেলে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বিকট শব্দে সেটি বিস্ফোরিত হয়। তিনি জানান, পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা সরোজ কুমারের পুকুরটি অনেক পুরোনো তবে পুকুরটি নতুন করে খনন করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এসময় কাদার ভেতর গ্রেনেডটি পান তারা। প্রথম দিকে এটি গ্রেনেড বোমা কেউ বুঝতে না পেরে পুকুরের পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখানকার শিশুরা ওই বোমাটি নিয়ে খেলছিল। এরই মধ্যে সেটি গ্রেনেড হিসেবে চিনতে পেরে এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যেই বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রংপুর র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে জানায়। সেখান থেকে জানানো হয়, বোমাটি সক্রিয় রয়েছে এবং এটি নিষ্ক্রিয় করতে হবে। পরে ইউনিটের সদস্যরা বিকেলে সেটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

চিরিরবন্দর থানার ওসি আরও বলেন, হ্যান্ড গ্রেনেডটি খুবই ছোট আকৃতির এবং তার গায়ে লেখা রয়েছে ১৯৬৬। তাতে মরিচা পড়ে গেছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে সক্রিয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে রংপুর র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। পরে সেখানকার সদস্যরা এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হতে পারে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –