• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ডাকটিকিটে কাজী নজরুল ইসলাম

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২  

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক অধিদফতর ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার কবির স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধন, খাম অবমুক্ত এবং  ডাটা কার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন তিনি।

মন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্ত্রী‘র তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের প্রশ্নে যে দুটি মহাপ্রাণের নাম অপরিহার্যভাবে চলে আসে, তারা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ‘রাজনীতির কবি’। দুজনই স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন বাংলাদেশের অন্যজন ভারতবর্ষের। একজন গণমানুষের কথা কবিতা আকারে বলে কারাবরণ করেছেন,  আরেকজন কারাবরণ করেছেন গণমানুষের জন্য লড়াই করে। একজন মহান নেতা  অন্যজন মহান কবি। দুজনই অগ্নিঝরা কথা বলেছেন গানে-ভাষণে।

তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম ভেদাভেদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন এই দুই মহান নেতা।

বিবৃতিতে আরো মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি ১৯৭২ সালের ২৪ মে  কবির ৭৩তম জন্মদিনের একদিন আগে ঢাকায় পৌঁছান। যেটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপনের জন্য নির্ধারিত ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং কবির জন্য একটি বাংলো বাড়ি পছন্দ করে দেন এবং বাড়িটির নামকরণ করেন ‘কবিভবন’। কাজী নজরুল ইসলাম ভবনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু কবিকে সম্মান জানানোর জন্য ধানমন্ডির কবিভবনে আসেন। পরে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় কবিকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয় এবং তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর জন্য ‘কবিভবনে’ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মন্ত্রী কাজী নজরুল ইসলামকে বাঙালি মনীষার এক অতুলনীয় সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কিংবদন্তী। বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপোষহীন। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ এবং ধূমকেতুর মতোই তার প্রকাশ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে কবি কাজী নজরুল  ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  ড. সৌমিত্র শেখর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিমা সুলতানা, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী এই উপলক্ষে আয়োজিত বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন  এবং বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুলের আগমন শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –